রেজা মাহমুদ, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুর রেল স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল করলেও পাশ্বর্তী গন্তব্য স্টেশনে যাওয়ার জন্য দেওয়া হচ্চে না যাত্রি টিকেট। দীর্ঘনি ধরে এসব গন্তব্যে টিকেট দেওয়া বন্ধ রয়েছে।
তবে টিকেট না দিলেও যাত্রি চলাচল রয়েছে স্বাভাবিক। সে সুযোগে কোটি কোটি যাচ্ছে ট্রেনে কর্মরত এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পকেটে। রেলওয়ের শহর বলে পরিচিত সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পার্শ্ববর্তী নীলফামারী, চিলাহাটি, ডোমার, পার্বতীপুর, ফুলবাড়িসহ আশপাশ এলাকার বিভিন্ন স্থানে ট্রেনে যাতায়াত করতে হয়।
কিন্তু এসব স্থানের জন্য টিকেট দেওয়া হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে হয়ে টিকেট ছাড়াই ট্রেনে উঠছেন অনেকে। ট্রেনে উঠে তাদের পড়তে হয় ভাড়ার বিপত্তিতে। কর্তব্যরতরা ভয়ভীতি দেখিয়ে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করলেও দেন না কোন টিকেট। শহরের মিস্ত্রিপাড়া এলাকার আমিনুর রহমান (৩৫) বলেন, বিভিন্ন প্রয়োজনে সৈয়দপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে আমাকে যেতে হয় চিলাহাটিতে।
যাওয়া কিংবা আসার সময় টিকেট পাওয়া যায় না। ফলে ট্রেনে উঠে ভাড়া পরিশোধ করলেও রশিদ পাওয়া যায় না। আর রশিদের কথা বললেই ভয়ভীতি দেখানো হয়। বুধবার স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে পাশ্ববর্তী নীলফামারী, ডোমার, চিলাহাটি এবং দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর, ফুলবাড়ি, বিরামপুর যাওয়ার টিকেটের জন্য কাউন্টারে ভীর করছিলেন যাত্রিরা।
এসময় টিকেট কাউন্টার থেকে জানানো হচ্ছিল এসব স্থানে যাওয়ার টিকেট বরাদ্দ নেই। রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার রেজাউল হক ও মিজানুর রহমান বলেন, আমরা দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে যাব। কিন্তু টিকেট পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে ট্রেনে উঠে টিটিকে টাকা দিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেল স্টেশনের বুকিং অফিস সূত্র জানায়, সৈয়দপুর থেকে নীলফামারী তিতুমীর ও বরেন্দ্র ট্রেনের ভাড়া ৪৫ টাকা, ডোমার ও চিলাহাটি পর্যন্ত ৫৫ টাকা এবং নীলসাগর, সীমান্ত ও রূপসার ভাড়া ৫০ও ৬৫ টাকা।
অপরদিকে পার্বতীপুর পর্যন্ত তিতুমীর ও বরেন্দ্র ট্রেনের ভাড়া ৪৫ টাকা এবং ফুলবাড়িও বিরামপুর ৫৫ টাকা। নীলসাগর ও রূপসা ট্রেনের ভাড়া পার্বতীপুর ৫০ টাকা, ফুলবাড়ি ৬৫ টাকা এবং বিরামপুর ৮৫ টাকা।সৈয়দপুর স্টেশন মাস্টার এসএম শওকত আলী বলেন, করোনার পরিস্থিতির শুরুতে বেশ কিছুদিন স্টান্ডিং টিকেট বন্ধ ছিল। এর পর চালু হলেও গত ২০ জানুয়ারী থেকে আবারো বন্ধ করে দেওয়া হয়ছে।
নির্দেশনা না থাকায় আসন বরাদ্দের বাইরে কোনো টিকেট বিক্রি করতে পারছি না। তিনি আরও জানান, বিনা টিকেটের যাত্রীরা ট্রেনে টিকেট নিতে চাইলে জরিমানা প্রদান করতে হয়। সে জরিমানার পরিমান গন্তব্যের ভাড়ার সমপরিমান।