মো.আককাস আলী,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁয় শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির নামে মধ্যবয়সী ও যুব সমাজে যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনের প্রবণতা বাড়ছে। ফলে দিন দিন মৃত্যুও ঝুকি বাড়ছে। ওইসব ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানান, উল্লেখযোগ্য মধ্যবয়সী ও যুব সমাজের লোকজন যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট এবং তরল জাতীয় ওষুধ নিয়মিত সেবন করছে।
থানা পুলিশ জানায়, সম্প্রতি যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনে শিবরামপুর গ্রামের জনৈক দুলাল হোসেন মন্ডল (৪০) নামে এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সূত্র মতে, উপজেলা শহরের বালুকাপাড়ার এক বয়লার চাতাল নারী শ্রমিকের সংগে ওই যুবক যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনের পরে শারীরিক সম্পর্ক করতে গিয়ে মারা যায়।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ওই নারী শ্রমিকের জবানবন্দী এবং লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্টে যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনে ওই যুবকের মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হয়। জেলার বিভিন্ন হাট বাজার ও ফুটপাতে ইউনানী হারবাল চিকিৎসালয় এবং স্টেশনারী দোকানে যৌন উত্তেজক ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে।
ওইসব দোকানে টাঙ্গানো সাইনবোর্ডের অন্তরালে প্রকাশ্যে ঠিকানা ও রেজিষ্টেশন বিহীন বিভিন্ন দেশের নামে প্রস্তুতকৃত চমকপ্রদ লেবেলে মোড়ানো প্যাকেটজাত ট্যাবলেট ও তরল জাতীয় বোতলজাত ওষুধ এবং পাস্টিক কৌটায় পেস্ট জাতীয় মদকসহ হরেক রকমের যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ও যৌন রোগ এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, এম,বি,বি,এস যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ব্যতিত কোন রোগী অথবা সুস্থ্য মানুষের যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন বিপদজনক। যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়।
রক্তচাপ বৃদ্ধির ফলে মুহুর্তের মধ্যে তার মৃত্যুসহ শরীরে অন্যান্য উপস্বর্গ দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকের মতে হৃদরোগ ও ব্রেইন ষ্টোকে মৃত্যুর আরেকটি অন্যতম কারন নিয়মিত যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন। ফলে এসব রোগীর সংখ্যা আশংকা জনক হারে বাড়ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক জানায়, সে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র না নিয়ে প্রায় ৩ মাস যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, ক্যাপসুল তরল জাতীয় ওষুধ ও মদক খেয়েছে।
নিয়মিত যৌন ওষুধ খেয়ে সে প্রথম একমাস শারীরিক যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি পেলেও বর্তমানে তার সক্ষমতা ২/১ মিনিট। সেই সাথে এ যুবক হার্ট রোগাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে সে জানায়। সমালোচকদেও দাবী, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইন প্রযোগকারী সংস্থাকে যৌন ওষুধ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে।