আছানুল হক: কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলায় ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। উক্ত নির্বাচনে আনারস মার্কা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন সামছুল হক। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা দাবি করেন চেয়ারম্যান সাহাবুল আলম লালু ও তার পোষ্য ক্যাডারগন আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে সমবার বিকালে সাতবাড়ীয়া বাজারে নিজ নির্বাচনী অফিসে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সামছুল হক সংবাদ সম্মেলন করেছেন । উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সামছুল হক লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, আগামী ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উক্ত রির্বাচনে ধরমপুর ইউনিয়ন আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছি।
আমার প্রতিপক্ষের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পোষ্য ক্যাড়ার বাহীনি কর্তৃক আমার নির্বাচনের প্রচারনার আনারসের অফিসে কর্মীদেরকে হুমকী ও ভোটারদেরকে ভীতি প্রদর্শন করে ত্রাস সৃষ্টি করছে। এ সময় তিনি আর জানান, আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অত্র ইউনিয়ন শাখার সুদীর্ঘ ৪ দশকের বেশি সময় ধরে নিষ্ঠার সাথে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি।
আমি ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করে গণমানুষের সমর্থনে ও ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবো, নির্বাচনের মাঠে নিজের কোনঠাসা অবস্থানের কথা বুঝতে পেরে নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী শাহাবুল আলম লালু আমার এবং আমার ভোটার সমর্থকদের উপর রুষ্ট হন।
ইতিপূর্বে পরোক্ষ ভাবে বিভিন্ন হুমকি দিয়েও নির্বাচন করার বিষয়ে আমার সংকল্পে আমি অনঢ় থাকায় নির্বাচনকে সামনে রেখে পেশি শক্তির অবৈধ ব্যবহার করে আনারসের প্রচার-প্রচারনায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। গত ৩০/১০/২০২১ খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যা ০৭.০০ ঘটিকা থেকে রাত ০৮.১৫ ঘটিকা পর্যন্ত উক্ত প্রার্থীর চিহ্নিত পোষ্য ক্যাডারগণ ১৫/২০ টি মোটর সাইকেল সহযোগে প্রথমে কাজিহাটা বাজারে এসে আমার নির্বাচনী অফিসে বসা কর্মীদেরকে আনারস মার্কায় ভোট করার জন্য অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
তারা অফিস ঘিরে মারমুখী আচরন করে এবং এরপর থেকে অফিসে আর কোনো আনারসের কর্মী দেখা গেলে তাদের কপালে দুঃখ আছে এই মর্মে স্বাসীয়ে নৌকা প্রতিকের ও উক্ত প্রার্থীর নামে স্লোগান দিতে দিতে প্রস্থান করে। এরপর উক্ত ক্যাডার বাহিনী মন্ডলপাড়া অতপরঃ সাতবাড়িয়াস্থ আমার নির্বাচনী অফিসে কর্মীদের সাথে মোটর সাইকেল যোগে এসে একই রকম আচরন করে।
উক্ত সন্ত্রাসীরা আনারসের প্রকাশ্যে সমর্থনকারী নিরীহ ভোটারদেরকে এই বলে ভয় দেখায় যে, নৌকা প্রতিক ছাড়া অন্য কোনো প্রতিকে ভোট দিলে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন নাই কারন ১১ তারিখে ঐ বিশেষ প্রতিকই জিতবে। উপরে বর্ণিত আচরন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং অবাধ নির্বাচনের অন্তরায়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মনে ভীতির সঞ্চার করে পেশি শক্তির অপব্যবহার করে এলাকা ব্যাপী জনমনে ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেই নির্বাচনে জনগনের প্রকৃত মতামত ও রায়ের সার্থক প্রতিফলন ঘটবে না। জনমনে সৃষ্ট ক্ষতের কারনে এই ধরনের আচরনে ১১ তারিখে নির্বাচনের বিষয়ে গণমানুষের উৎসাহ হারাতে বসেছে বিধায় নির্বাচনকে অর্থবহ করতে নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টির কোনো বিকল্প নাই।
ধরমপুর ইউনিয়নের ভোটাররা যাতে আমার প্রতিকের প্রচার প্রচারনায় স্বাচ্ছন্দে ও নিরাপদে অংশ নিতে পারেন সে ব্যাপারে সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। এ সময় তিনি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচানার জন্য, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সহ প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কমনা করেন। সে সাথে তিনি দাবি করেন নয়টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১,২,৬,৭,৮,৯ ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্র আমার কাছে ঝুকি পূর্ন মনে হচ্ছে তাই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।