ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২১ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

বিয়ের দাবীতে পুলিশ সদস্য”র বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

এম এ ওয়াহিদ রুলু, কমলগঞ্জ: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আব্দুস সালাম নামে এক পুলিশ সদস্য”র  বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন প্রেমিকা। সালাম উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের জাঙ্গালীয়া গ্রামের তেরাব আলীর ছেলে। সে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরী করে ও শুক্রবার গোপনে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় ও অনশনরত নারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে পুলিশ সদস্য আব্দুস সালামের বাড়িতে অনশন শুরু করেন নারী। অনশনে বসা ওই নারী আব্দুস সালামের চাচাতো ভাই শাহ আলমের সাবেক স্ত্রী।

তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে বিয়ের পর থেকে সে তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে প্রেমের ফাদে ফেলে দেয়। একপার্যায়ে বিষয়টি জানা জানি হলে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি হলেও সালাম ওই নারীকে বিয়ে করতে চায়নি। পরে ওই নারী আব্দুস সালামের বিষয়ে তার তৎকালীন কর্মস্থল হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

বর্তমানে অভিযোগটি তদন্তাধিন অবস্থায় রয়েছে। এরই মধ্যে গোপনে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) উপজেলা ইসলামপুর এলাকায় বিয়ে ঠিক করেন সালামের পরিবার। বিয়ের খবর পেয়ে নিজের অধিকার আদায়ে বিয়ের দাবীতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুলিশ সদস্য আব্দুস সালামের বাড়িতে অনশন শুরু করেন তার প্রেমিকা।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গেলে অনশনে থাকা নারী (নাসিমা আক্তার) বলেন, ‘আব্দুস সালামের সাথে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। সে বিয়ের আশা দিয়ে তাকে নিয়ে বিভিন্ন হোটেলে রাত্রী যাপনও করেছে। আমার পূর্বের স্বামীকেও তার কথায় ডিবোর্স দিয়েছি। এখন গোপনে বিয়ে করতে দিন তারিখও ঠিক করেছে। সে তাকে বিয়ে করার জন্যই তিনি তার বাড়িতে এসেছেন। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, বাড়িতে প্রবেশের পর তাকে সালামসহ তার ভাবিরা মিলে মারধর করেন।

তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে সালামের বাবা ও দুই ভাবি জানান, সালাম এই মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি নন। তাই তারা অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েটি হঠাৎ করে এসে গালমন্ধ শুরু করে বাড়ির সামনে বসে আছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে শালিস বৈঠক হয়। কিন্তু সালাম এ বৈঠকের রায় মানেনি। এখন আর আমাদের কিছুই করার নেই।কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।