ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১২ নভেম্বর, ২০২১ , আজকের সময় : সোমবার, ৬ মে, ২০২৪

রাজশাহীর মারিয়া দিঘীতে শেষ হলো মাছ ধরার প্রতিযোগিতা

রাজশাহী মহানগরীর পার্শবর্তি মারিয়া গ্রামের মারিয়া দিঘীতে ২৫হাজার টাকা টিকিটে দুই দিন ব্যাপি মাছ ধরার প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে গ্রাম্য এই সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত দিঘীটিতে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আসা মাছ ধরার প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহনকারী মৎস্য শিকারীদের উপস্থিতিতে মাছ ধরার প্রতিযোগীতা শুরু করে দির্ঘ ২৭ঘন্টা পর আজ শুক্রবার বিকেল ৫ টায় শেষ হয়।

এ সময় রাজশাহীর পরিচিত মুখ ছিপ বড়শীর দোকানদার মাসুম’র নিজস্ব প্রডাক্ট “জলদি খাও” এর সদস্যরা মৎস্য শিকারীদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করেছেন। মাছ ধরার প্রতিযোগীতায় রাজশাহীর ঠিকাদার গাজি সর্বোচ্চ ১৪কেজি ৩০০গ্রাম ওজনের রুই মাছ ধরে প্রথমস্থান অধিকার করেছেন।

প্রথমস্থান অধিকার করায় টিকা বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে ঠিকাদার গাজিকে উপহার হিসেবে প্রায় ৫০হাজার টাকার মাছ শিকারের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তুলে দেয়া হয়। গ্রাম্য এই সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত দিঘীটির মালিকের মধ্যে রাশেল জানান, দিঘীটিতে সর্বচ্চ মাছ ব্লাডকাপ ২৭ কেজি,কাতল ১৮ কেজি,রুই ১৫ কেজি ছাড়াও সর্বনিম্ন ২ কেজি ওজনের মাছ রয়েছে।

এক রাত দুই দিন মাছ ধরতে ২৫হাজার টাকা দিয়ে মৎস্য শিকারিরা টিকিট সংগ্রহ করেন। দীর্ঘ ২৪বিঘা আয়োতনের এই দিঘীটিতে মাছ ধরা প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ৩৮জন শৌখিন মৎস্য শিকারিরা অংশ নেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম,ময়মনসিংহ ,কুমিল্লা, নোয়াখালী, জয়পুরহাট, পাঁচবিবি, নওগাঁ,কুষ্টিয়া ও রাজশাহীর মৎস্য শিকারিরা রয়েছেন। প্রত্যেক প্রতিযোগী এক টিকিটের একটি মাচানে ছয়টি বড়শি নিয়ে দিঘীটিতে মাছ ধরেন। বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করার আনন্দ-উদ্দীপনাকে জাগ্রত করতেই দিঘীর মালিকগন এর আয়োজন করেন বলে জানান তিনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে মাছ ধরা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিযোগীরা। কেউ কেউ এই প্রতিযোগিতায় তাদের সহযোগীদের নিয়ে এসেছেন। তাদের মধ্যে কেউ বড় মাছ পেয়ে খুব খুশি, আবার কেউ আশানুরূপ মাছ না পেয়ে হতাশ। মাছ ধরার প্রতিযোগিতা দেখতে লেকপাড়ে জড়ো হন শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ। উৎসমুখর পরিবেশে বড়শি দিয়ে রুই, কাতল, মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করেন মৎস্য শিকারিরা।

ময়মনসিংহ থেকে আসা এক মৎস্য শিকারি বলেন, ‘আমি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন প্রতিযোগিতার কথা জানলেই সেখানে অংশ নিই। ভালোই লাগে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে। শখ করে আমি ও আমার কয়েকজন বন্ধু এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় নামি।

নোয়াখালী থেকে আসা আলামিন বলেন, ‘আমি দোকানদারি করি। বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে অনেক ভালো লাগে। তাই এই প্রথম মাছ ধরতে এসেছি। এক টিকিটে ছয়টি বড়শি, তাই চারজন বন্ধু মিলে আমরা একত্রে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছি।

মাছ ধরা দেখতে আসা দর্শনার্থী আরিফুর রহমান বলেন, পুকুর পাড়ে ঘুরতে এসে মাছ ধরার এমন দৃশ্য দেখে আরও বেশি ভালো লাগছে বলে জানান তিনি।