রাজশাহী ব্যুরোঃ নাটোরের বড়াইগ্রামে মাছসহ ট্রাক লুটের ঘটনায় শফিকুল ইসলাম নামের এক ট্রাক মালিক সহ ৪ জনকে আটক করেছে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। পরে ট্রাক মালিক শফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করলে, আদালত ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। রোববার(১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নাটোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত ও ঘটনা সূত্রে জানাযায়, গত ১৩ই ডিসেম্বর চাঁপাই-নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে মাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রাকিবের ম্যানেজার আব্দুর রহমান রুই, কাতল, মৃগেলসহ বিভিন্ন কার্প জাতীয় প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার মাছ ঢাকায় পাঠানোর উদ্দেশ্যে মুটোফোনে আসামী শফিকুলের ট্রাক ভাড়া করেন।
পরে রাত ৯টার দিকে ট্রাকটি নাটোরের বড়াইগ্রামের রাথুরিয়া নামক স্থানে পৌঁছালে মোটর সাইকেল যোগে দুই জন এসে মাছবাহী ঐ ট্রাকের গতিরোধ করে অস্ত্র ঠেকিয়ে ড্রাইভার ও ম্যানেজার আব্দুর রহমানকে বেধে ফেলে।
তারপর তাদের সড়কের পাশে ফেলে ট্রাকটি নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় মাছ ব্যবসায়ী পরের দিন ঘটনা জেনে (১৪ ডিসেম্বর) নাটোর বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ১৫ই ডিসেম্বর রাজশাহীর দূর্গাপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাক মালিক শফিকুল ইসলাম সহ তার সহযোগি রোহান, মাসুদ মন্ডল ও নুর ইসলামকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে।
থানাসূত্রে জানা গেছে, আসামী শফিকুল ইসলামের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার আমগাছী গ্রামে। শফিকুলের বাবার নাম মোঃ মসলেম উদ্দিন (সাইকেল মেকার)। এই ছিনতায়ের ঘটনাটি ট্রাক মালিক শফিকুলের পরিকল্পনায় করা হয়েছে।