ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২২ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪

পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ, বেড জায়গা না হওয়ায় মেঝেতে রোগীরা

মো.আককাস আলী,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁ জেলা জুড়ে বেড়েই চলেছে শীতের প্রকোপ। শীত যতই বাড়ছে, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষ করে নবজাতক, শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও জ্বর, ডায়রিয়া প্রভৃতিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন।

হাসপাতাল বেডে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের ঠাঁই হয়েছে শক্ত মেঝেতে। নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালের বেডে জায়গা না হওয়ায় শিশু ওয়ার্ডের মেঝেতেও বিছানা পেতে রয়েছেন অনেকে। হঠাৎ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।

এই হাসপাতালে ভর্তি মান্দা উপজেলার মান্দা ফকির পাড়া গ্রামের
মমতাজ বেগম বলেন, ‘তিনদিন আগে সন্তানের হঠাৎ করে পাতলা পায়খানা শুরু হয়। স্যালাইন খাওয়ানোর পরও কোনো কাজ হয়নি। অবশেষে হাসপাতালে এসেছি।

সদর উপজেলার চকমুক্তার গ্রামের নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘গত কয়েক দিনের শীতে মেয়েটা বমি ও পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। শুক্রবার রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসি। শিশু ওয়ার্ডে রোগীর এতটাই চাপ যে, জায়গা না হওয়ায় মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছি।’ নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মনিরা জান্নাত বলেন, ‘হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশু ওয়ার্ডের বেডে জায়গা হচ্ছে না।

তাই মেঝেতে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এক বেডে ২-৩ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতে কষ্ট পাচ্ছে অভিভাবক এবং শিশুরা। চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে রীতিমতো আমরাও হাঁপিয়ে উঠেছি। নওগাঁ সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ফারহানা আখতার ফারুক বলেন, ‘হাসপাতালে অন্য রোগীর তুলনায় শিশু আর বয়স্ক রোগীর
সংখ্যা বেশি।

প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন ডায়রিয়া এবং ১৫ জন নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এই অবস্থায় চিকিৎসক আর নার্সরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন রোগীদের সেবা দেওয়ার। কলেরা স্যালাইনসহ বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক ওষুধ সরকার থেকে সাপ্লাই থাকার কারণে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে পারছি।শিশুদের বাইরের অনিরাপদ খাবার না খেতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, এই আবহাওয়ায় শিশুদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে।

শিশুদের যেন ঠান্ডা না লাগে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। নওগাঁর ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ-মোর্শেদ বলেন, ‘গত পাঁচ দিনে জেলার ১১ উপজেলায় চার শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশু ও বয়স্ক। শীত থেকে রক্ষা পেতে গরম খাবার ও গরম পোশাক পরিধান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বাচ্চারা অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।