রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে মামলার বাদী জিয়াউর রহমান খোকার বিরুদ্ধে। খোকা রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার সায়েরগাছা মহল্লার মৃত খলিলের ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানাযায়, গত ১০ জানুয়ারী ২০২২ (মঙ্গলবার) রাত্রী আনুমানিক ৮.০০টার সময় তুচ্ছ ঘটনা অর্থাৎ বরই পাড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে নগরীর গোবিন্দপুর মহল্লার মৃত তাহাসিন আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম (৫০) গুরত্বর আহত হয় এবং তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
পরে রেজাউল এর মামা জিয়াউর রহমান খোকা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কয়েক জনের নাম উল্লেখ করেছেন এমন অভিযোগ আসামীদের পরিবারের। এরপর পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এতে ঐ এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমনি এক ভুক্তভোগী নগরীর গোবিন্দপুর মহল্লার মৃত জারমান আলীর ছেলে নুর মোহাম্মদ (২৭)। নুর মোহাম্মদ একজন ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী।
তাকেও এই মামলায় আসামী করে তার দোকান থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মিডিয়া কর্মীর একটি টিম তথ্য অনুসন্ধানে নামে। তথ্য অনুসন্ধানে গেলে ঘটনাটা অনেকটায় পরিষ্কার হয় মিডিয়া কর্মীর কাছে। ঘটনা সম্পর্কে জানতে আহত রেজাউলের স্ত্রী’র সাথে কথা বললে তিনি বলেন , আমি শুনেছি মামলায় নুর মোহাম্মদকে আসামী করা হয়েছে।
কিন্তু নুর মোহাম্মদ ঘটনার সময় ছিলনা। কে নাম দিয়েছে আমি জানিনা। তাছাড়া নুর মোহাম্মদ ভাল ছেলে, সে ব্যবসা করে। পরে মামলার বাদী জিয়াউর রহমান খোকার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, যাদের নাম দিয়েছি সকলেই এই ঘটনার সাথে জড়িত। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও যারা দেখেছে, তাদের মুখ থেকে শুনে নাম দিয়েছি। তারপরেও পুলিশ আছে তারা তদন্ত করবে।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ইমরান হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঘটনাটি খুব দুঃখজনক ঘটনা। যাকে মারা হয়েছে সে প্রতিবন্ধি লোক। আর আসামী যাদের করেছে তাদের কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। বাঁকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার সাথে জড়িত না এমন কাউকে ধরা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার কাছেও কয়েকজন যোগাযোগ করেছে যে, মামলার ৬ নং আসামী নুর মোহাম্মদ ছিলনা। কিন্তু এজাহারে নাম আছে এখানে আমার কিছু করার নাই। তারপরও যদি সে জড়িত না থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে চার্জশীট থেকে নাম বাদ দেওয়ার সুযোগ থাকবে।