ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : সোমবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২২ , আজকের সময় : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

দশমিনায় রাস্তাারপাশে ঝুঁকিপূর্ন মরা গাছ সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব

মোঃবেল্লাল হোসেন দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দশমিনায় বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে নানান প্রজাতির অসংখ্য মরা গাছ। যেকোন মুহূর্তে গাছগুলো রাস্তার উপরে পড়ে ঘটতে
পারে প্রাণহানীসহ মারাত্মক দুর্ঘটনা। অন্যদিকে মূল্যবান গাছগুলো মরে
বৃষ্টিতে ভিজে রোদে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

জানা যায়, দশমিনা-পটুয়াখালী ও দশমিনা-বরিশাল মহাসড়কসহ উপজেলার সাথে সকল ইউনিয়নের সংযোগ সড়কগুলোর দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মূল্যবান মরা গাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে। গাছগুলো দীর্ঘ দিন ধরে মরে শুকিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গাছগুলো অপসারণের ব্যবস্থা করেনি। মরে শুকিয়ে থাকায় মাঝেমধ্যেই ভেঙ্গে পড়ে রাস্তার উপর।

ফলে সড়কগুলোতে মাঝেমধ্যেই যানজট সৃষ্টিসহ এবং চলাচলকারী যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীদের মধ্যে থাকে আতংক। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা শহরের নলখোলা এলাকা থেকে আলীপুরা ইউনিয়নে,
দশমিনা থেকে রনগোপালদী ইউনিয়নের সংযোগ সড়কের উভয় পাশে কয়েকশ মরা রেইন্ট্রি, মেহগনি ও শিশু গাছ রয়েছে। কোথাওবা কাত হয়ে রাস্তার পাশে অবহেলায় পড়ে রয়েছে।

দশমিনা বাউফল মহাসড়কের দুপাশে একই অবস্থা। উপজেলা শহরের থানা ও হাসপাতাল রোডে রয়েছে কয়েকটি মরা চাম্বুল গাছ । এছাড়াও সড়কের দুপাশে বিভিন্ন সময়ে ঝড়ে কিংবা বাতাসে পরে যাওয়া অনেক গাছ
দেখতে পাওয়া যায়। জানা যায়, বছরের পর বছর এ মরা গাছগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে কিছু গাছ বিধি মোতাবেক বিক্রির উপযোগী থাকলেও অধিকাংশ গাছই বিক্রির অনুপযোগী হয়ে গেছে।

আবার কিছু বিক্রির অনুপযোগী হতে চলছে। ফলে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দশমিনা সদর রোডের ব্যবসায়ী শহিদুল হক মীর জানান, গত বছর বর্ষায় একটি গাছ পরে আমার দোকানের কিছু মালামাল নষ্ট হয়েছিল গাছটি এখনো পরে আছে। গাছটি বিক্রি করলে ৮-১০ হজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হতো কিন্তু গাছটি শুকিয়ে দাড়িয়ে ছিলো ঝড়ে পরে যায়।

যানবাহন ও পথচারীরা অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও দীর্ঘ সময়ের জন্য রাস্তায় তৈরী হয়েছিল যানজট। গাছটি ঝড়ের কবলে পরে প্রায় ১ বছর হয়ে গেছে এখনো সেখানেই আছে কেহই কেঁটে নেয়নি তার পাশে একটি চাম্বুল গাছ শুকিয়ে পোকা মাকড়ে খাচ্ছে ধিরে ধিরে খষে পরছে তাও কেহ কেঁটে নেয়না । গাছটির ডাাল পালা পরে ঘটছে দুর্ঘটনা।

উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের অধিবাসী পথচারী আনোয়ার হোসেন জানান, রাস্তাার দুপাশের এমন মরা গাছগুলো পথচারী যানবাহন ও গৃহপালিত পশুর জন্য যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোন সময় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী ঘটতে পারে। তাই দ্রুত রাস্তার দু’পাশ থেকে বিধি মোতাবেক মরা গাছগুলো অপসারণ করা উচিত।

দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার মো.
শাহজাহান জানান, এ গাছগুলো পথচারী ও যানবাহনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
কিছুদিন আগে রোগী নিয়ে বরিশাল যাবার পথে গছানী রাস্তায় মরা গাছের ডাল পরে আমার এ্যাম্বুলেন্সের দু’টো গøাস ভেঙ্গে যায়। অল্পের জন্য আমি ও বহনকৃত রোগীরা প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।

আলীপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা সোহাগ বলেন, এ রকম মরাগাছ (বিভিন্ন
প্রজাতির) রাস্তার পাশে শুকিয়ে দাড়িয়ে আছে এবং মাটিতে পরে বিভিন্ন পোকা- মাকড়ে খেয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে, রাস্তায় জনসাধারন চলাচলে মাঝে মধ্যে শুকনো গাছের ডাল পরে ঘটছে দূর্ঘটনা । আমরা কখনো শুনি এজিইডির আবার শুনি বন বিভাগের।

তাদের উদাসিনতায় সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব আর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে চলাচলে জন মনে আতঙ্ক বিরাজমান। বন বিভাগের দশমিনা রেঞ্জ কর্মকর্তা অমিতাভ বসু আজকের পত্রিকা
প্রতিনিধিকে জানান, সকল রাস্তার পাশের গাছই বন বিভাগের নয়। কিছু কিছু সড়কের পাশের গাছ এলজিইডি’র তত্ত্ধসঢ়;বাবধানে রয়েছে। রাস্তার দু’পাশে বন বিভাগের মৃত ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো অতি শীঘ্রই মার্ক করে নির্ধারিত বিধি মোতাবেক টেন্ডারের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।

দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) মো. মকবুল হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানান, সংশ্লিষ্ট নীতিমালার বাহিরেতো আমরা কিছু করতে পারি না। সরকারী বিধি মোতাবেক অতি শীঘ্রই মরা গাছগুলো অপসারণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।