ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২২ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

দশমিনায় রাখাইল বেগুন চাষে সফল শাহ আলম

দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালী দশমিনায় রাখাইল বেগুন বা বারি-১২ বেগুন চাষে সাভলম্বি শাহ-আলম। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দশমিনা উপজেরার বেতাগীসানকিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহ-আলিম পেশায় একজন কৃষক। পরিবারের ভরন-পোষন হয় কৃষি উৎপাধন পন্য থেকে।

তিনি নতুন নতুন সবজি চাষে সবসয়ই নিজেকে বিভিন্ন সময় ব্যস্ত রাখেন। শীতকালীন সবজির চাহিদা সবসময়ই বেশি । তার সবজি চাষে
আগ্রহ বেশি। গত বছর তিনি বান্দরবন পাহাড়ি এলাকায় যান ব্যবসার প্রয়োজনে সেখানে তিনি রাখাইল বেগুন বা বারি বেগুন-১২ এর চাষের ব্যবস্থপনা দেখে আসেন এবং খোজ খবর নেন কি ভাবে পাওয়া যায় এ রাখাইল বেগুনের চারা।

মোঃ শাহ-আলম পটুয়াখালীর দুমকি কৃষি ইনস্টিটিউট থেকে রাখাইল বেগুন বা বারি-১২ বেগুনের দুইহাজার চারা সংগ্রহ করেন । তার প্রায় ১একর জমিতে এ চারা রোপন করে থাকেন। শাহ-আলম বলেন, আমি একজন সবজি চাষি শীত মৌসুমে বিভিন্ন সবজি ফলিয়ে থাকি।

আমার ব্যবসার কারনে বান্দরবন যাই সেখানে রাখাইল বেগুন দেখি এবং চাষের জন্য মন স্থির করি। এ বেগুন প্রায় এক থেকে দড় কেজি হয়ে খাকে।
আমি প্রথমবার এ বেগুন চাষ করি হাফ একর জমিতে ভালো ফলন পাই এবং রাজারে এর চাহিদা ব্যাপক তাই এ বছর দুমকি কৃষি ইনস্টিটিউট থেকে ২হাজার চারা এনে এক একর জমিতে রোপন করি। এ বছর গাছের ফলন অধিকতর ভালো আশা করছি।

আমার বেগুন বিক্রি করতে বাজারে যেতে হয়না পাইকেরা আমার ক্ষেত থেকে এসে নিয়ে যায়। এ বেগুন খুবই সুস্বাধু তাই বাজারে এর চাহিদা বেশি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে অফিসারেরা এসে বিভিন্ন পরামর্শ ও সার দিয়ে থাকেন। এ বছর কোর রোগ বালাই নাই । আমি বেগুন বাজার জাত শুরু করেছি।

এখোন বাজারে ৪০-৫০ টাকা কেজি প্রতি বেগুন বিক্রি করছি । আমার বেগুন ক্ষেত দেখেতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সবজি চাষিরা আসে। আমার মনে হয় আগামী বছর দশমিনা উপজেলায় অনেক চাষিরা এ বেগুন চাষ করবে।

তারনিকট তম সবজি চাষি অমল বলেন, আমি এ বছর ২৫শতাংশ জমিতে বেগুন চাষ করি শাহ-আলম ভাইর সাথে গিয়ে তিন শত চারা আনছি । উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন সময় পরামর্শ পেয়ে তাকি এবয় তারা এসে খোজ খবন নেন। এ বছর গাছে ফলন অধিক হয়েছে বাজারজাত শুরু করছি।

অধিক লাভ হবে আশা করছি । আগামী বছর ২ একর জমিতে বেগুন চাষ করবো। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু জাফর আহমেদ বলেন, বারি-১২ বা রাখাইল বেগুন এই প্রথম উপজেলার বেতাগীসানকিপুর ইউনিয়নের সবজি চাষি মোঃ শাহ-আলম চাষ করে সফলতার পেতে যাচ্ছে। আমাদের অফিস থেকে সার্বক্ষনিক দেখাশুনা করা হচ্ছে।

এ বেগুন আকারে বড় হয়, খেতে সুস্বাধু ও মজাদার। এ বছর তার
ক্ষেতে ফলন অধিকতর ভালো । এই প্রথম বারে দশমিনা উপজেলায় রাখাইল বেগুন বা বারি-১২ বেগুন উৎপাদনের জন্য সফল সবজি চাষি হিসাবে মোঃ শাহ-আলমকে পুরস্কারের জন্য মনোনায়ন করা হয়েছে।

দশমিনা উপজেলায় শাহ-আলম এর ক্ষেত দেখে আরো ব্যাপক হারে আগামীতে বেগুন চাষে চাষিরা ব্যাপক আকারে চাষের সম্ভবনা
তৈরি হবে।