ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

দশমিনায় এই প্রথম সমালয় পদ্ধতিতে বোরো আবাদের উদ্ধোধন

দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালী দশমিনায় বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলার বাশঁবাড়ীয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের গছানী ব্লোকে সমালয় পদ্ধতিতে বোরো চাষের উদ্ধোধন করেন খাইরুল ইসলাম মল্লিক, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার, কৃষি সম্প্রসাণ অধিদপ্তর,খামারবাড়ি পটুয়াখালী।

উপজেলা কৃষি বিভিাগ থেকে জানাযায়, বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে সময়োপযোগী গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ সমলয়ে চাষাবাদ বা এর মাধ্যমে পাশাপাশি জমিতে গছানী এলাকার কৃষক সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের জমিতে একই জাতের ফসল চাষাবাদ করছে এবং প্রতিটি কাজ করছে যন্ত্রনির্ভর।

এতে বীজ বপন হয় ট্রেতে,মাত্র ২২-২৪ দিনের চারাগুলো রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দিয়ে রোপন করা হয়। রোপনের সময় এলাকার কৃষকদের মাঝে কৌতুহ দেখা যায়। গছানী ব্লোকের প্রধান কৃষক নেছার বলেন,উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ৪৫ জন কৃষক সংঘবদ্ধ হয়ে সমালয় পদ্ধতিতে রোরো ধান আবাদের প্রশিক্ষন গ্রহন করে এ বছর এই প্রথম প্রযুক্তির মাধ্যমে বোরো ধার আবাদে জন্য ৫০ একর জমি প্রস্তুত করেছি।

আমাদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষনিক দেখাশোনা করছেন।
কৃষক হানিফ বলেন, প্রশিক্ষন গ্রহন করেছি । এক সাথে আমরা ৪৫ জন কৃষক সমালয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষের জন্য ৫০ একর জমি প্রস্তুত করে আজ বৃহস্পতিবার ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানের বীজ রোপ কাজ শুরু করেছি।

আমরা আশা করছি এ পদ্ধতিতে অধিক ফলন পাবো। পটুয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, প্রশিক্ষণ খাইরুল ইসলাম মল্লিক বলেন. জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য ধান ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

সমলয়ে চাষাবাদের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারসহ বোরো ধানের উৎপাদন খরচ কমানো, শ্রমিক সংকট নিরসন ও সময় সাশ্রয় সম্ভব। সফলভাবে ফসল উৎপাদনের জন্য সমলয়ে চাষাবাদ পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং কৃষি মন্ত্রণালয় বিশেষ উদ্যোগ নেয় গত বছর।

যার সফলতা উপজেলার কৃষকরা ভোগ করবে। এ পদ্ধতি গ্রহন করে কৃষকরা স্বল্প সময়ে অধিক ফলন পাবে । আমি আশাবাধি আগামী বছর সমালয় পদ্ধিতিতে চাষাবাধে কৃষকরা বোরো আবাদে বেশি আগ্রহী হবেন।
এ ব্যাপারে কথা হয় দশমিনা উপজেলা কৃষি সম্প্রসান কর্মকর্তা নাহিদ এর সঙ্গে।

তিনি জানান, সমলয় চাষ পদ্ধতির উপযোগিতা স্পর্কে সনাতন(পুরাতন) পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি না করে প্লস্টিকের ফ্রেম বা ট্রেতে বীজ বপণ করা শেখানো হয়। প্লাস্টিকের ফ্রেমের বা ট্রে-এর মধ্যে ৩:২ অনুপাতে মাটি ও গোবরের মিশ্রণ দিয়ে বীজতলা তৈরি করা হয়।

এরপর বীজ ছিটিয়ে দিয়ে পুনরায় অর্ধেক মাটি ও গোবর মিশ্রণ দিয়ে সমতল জায়গায় রেখে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখা হয়। বীজতলা তৈরির ৩ দিনের মধ্যে অঙ্কুর বের হয়ে যায়। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা উৎপাদন করে রোপণ করা সম্ভব।

এখন বীজতলার বয়স চলছে ১৬ দিন। তিনি জানান, এই প্রথম বারের মতো উপজেলার গছানী বেøাকে পরীক্ষা পরীক্ষামুলকভাবে ৪৫ জন পুরুষ কৃষক সরকারের প্রনোদনায় ২ হাজার ট্রে-তে বীজতলা তৈরি করেছে। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের এ কার্যক্রমে সহজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকদের অধিক ফলন ঘরে তুলবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাফর আহমেদ বলেন, উপজেলায় বেশিভাগ কৃষক পুরানো পদ্ধিতিতে বোরো আবাদে অবস্থ। এ বছর প্রথম বারের মতো উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের গছানী ব্লোকে ৪৫ জন কৃষককে সমালয় পদ্ধতিতে বোরো আবাদের প্রশিক্ষন দেয়া হয়।

৪৫ জন কৃষক ২ হাজার ট্রেতে বীজ তলা তৈরী কেরে আজ বৃহস্পতিবার ৫০ একর জমিতে বোরো আবাদের জন্য জমি তৈরী করে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার এর মাধ্যমে জমিতে বীজ রোপন কাজ শুরু করেন। এ পদ্ধতিতে স্বল্প সময়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে ধানের বীজ রোপন,কাঁটা ও বস্তা বন্দি করা হয়। বংলাদেশ কৃষি নির্ভর তাই কৃষিকে প্রসারনের জন্য উপজেলায় আগমী বছর এ পদ্ধতিতে বোরো আবাদে কৃষক আগ্রহী হবেন।