কাজি মোস্তফা রুমি স্টাফ রিপোর্টার: বেশ কিছুদিন যাবৎ গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার গার্মেন্টেস গুলোতে ফিনিশিং বিভাগের আয়রনম্যান শ্রমিকদের কৌশলে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। আবার চাকরিচ্যুত ওই শ্রমিকদের একই কারখানার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
এমন একটি কারখানা গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার এমএম নিটওয়্যার গার্মেন্টস কারখানা। চাকরিচ্যূত শ্রমিক নাজমুল জানান, কারখানাটি দুই দফায় ৪২জন শ্রমিককে জোর পূর্বক রিজাইন করিয়ে আবার একই কারখানায় ঠিকাদারের অধিনে কাজ করাতে বাধ্য করা হচ্ছে। সর্বশেষ ৫ ফ্রেবুয়ারি ১৭জন শ্রমিককে জোরপূর্বক রিজাইনপত্রে টিপ-স্বাক্ষর নিয়ে চাকরিচ্যূত করা হয় এবং এসব শ্রমিককে ঠিকাদারের অধিনে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশ কিছু কারখানাতে ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। যে ঠিকাদারের বৈধ কোন কাগজপত্র নেই।
বিষয়টি নিয়ে কথা বললে এম এম নীটওয়্যার এডমিন ম্যানেজার জাকির হোসেন মজুমদার জানান, তারা কোনো শ্রমিককে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করে নাই। শ্রমিকদের ওই কারখানার অন্য ফ্লোরে স্থানান্তরিত করার প্রস্তাব করলে, শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় রিজাইন দিয়েছে।
শ্রম আইনে ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ করানোর বিধান থাকলেও শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা এবং বৈধ ও নিবন্ধনকৃত ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ করার কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু এ সব মালিকরা কোনটাই মানছে না। এ বিষয়ে শ্রমিক নেতা আশরাফুজ্জামান বলেন, শ্রম আইন এর দ্বিতীয় অধ্যায়ে নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলীতে বলা আছে, কোন ঠিকাদারি সংস্থা যদি কাজ করতে চায়, তাহলে সর্বপ্রথম সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বৈধ কোন কাগজপত্র আছে কিনা সেটা আগে খতিয়ে দেখতে হবে।
কোন ঠিকাদার সংস্থা যে নামে অভিহিত হোক না কেন যাহা বিভিন্ন সংস্থায় চুক্তিতে বিভিন্ন পদে কর্মী সরবরাহ করিয়া থাকে সরকারের নিকট হইতে রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবে না।
কিন্তু এসব কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই এই আইন মানছে না।