ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২ , আজকের সময় : রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

বীর মুক্তিযোদ্ধা এ‍্যাড. মুলতান উদ্দিন আর নেই

কাজি মোস্তফা রুমি, স্টাফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সহবতপুর ইউনিয়নের কোকাদাইর গ্রামের বরেণ্য রাজনীতিবিদ ও স্বনামধন্য আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুলতান উদ্দিন (৬৮) মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মৃত্যু বরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রণাঙ্গনের এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ২৩ মার্চ সকালে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিজ এলাকার কোকাদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান।

তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন নাগরপুর উপজেলা সদ্য সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সুজায়েত হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা সাংবাদিক ফোরাম ঢাকাস্থ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আছাব মাহমুদ এবং নাগরপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ কুদরত আলী।

উল্লেখ্য, নাগরপুরের কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুলতান উদ্দিন একাধারে সাবেক টাঙ্গাইল জেলা এডভোকেট বার সমিতির সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনা সদস্য, সহবতপুর ইউপি চেয়ারম্যান, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এছাড়াও তিনি ছাত্র রাজনীতি থেকে নাগরপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ সাবেক ভিপি ছিলেন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

মরহুমের শেষ বিদায়ে উপস্থিত ছিলেন, নাগরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির, উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ছালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সরোয়ার ছানা, সম্মানিত উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য এটি এম আনিসুজ্জামান বুলবুল, সহবতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তোফায়েল আহমেদ মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলার সকল ইউনিয়নের সুশীল সমাজ, চেয়ারম্যান বৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও তাদের সন্তানগণ। এছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং নাগরপুর থানা ও জেলা পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মরহুমের সংসারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান সহ অসংখ্য শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন।