ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২২ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

চিকিৎসায় দুর্দান্ত  অবদান রাখছেন মধুসূদনপূর কমিউনিটি ক্লিনিক : সেবা নিচ্ছে শত শত মানুষ

সবুজ ইসলাম, পবা প্রতিনিধিঃ গত ২৬ এপ্রিল ২০০০ ইং সালে দেশে সর্বপ্রথম কমিউনিটি ক্লিনিক নামে নতুন একটি স্বাস্থ্য খাতের উদ্ভোধন করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বর্তমান সময়ে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্টীর কাছে সেবার মান নিয়ে একটি আস্থার জায়গা করে নিয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক। সরকারি হিসাব অনুযায়ী সারা দেশে ১৩ হাজার ৮৮১টি ক্লিনিক চালু অবস্থায় আছে। গ্রামীণ প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য একটি করে ক্লিনিক নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। সরকারের সেই স্বাস্থ্যসেবার সুফল হিসেবে রাজশাহীর পবা উপজেলার ভিতরে অন্যতম একটি ‘মধুসূদনপুর কমিউনিটি ক্লিনিক’। যার অবস্থান হচ্ছে নওহাটা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মধুসূদনপুর গ্রামে।

এই ক্লিনিক থেকে দৈনিক গড়ে ৬০ জন মানুষ সেবা নেয়। ক্লিনিক থেকে: মা, নবজাতক ও অসুস্থ শিশুর সমন্বিত সেবা (আইএমসিআই), প্রজননস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা এবং সাধারণ আঘাতের চিকিৎসা দেওয়া হয়। ক্লিনিকটিতে শিশু ও মায়েদের টিকাদানের ব্যবস্থা রয়েছে। ক্লিনিকে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো সংক্রামক রোগ শনাক্ত করা হয়। স্বাস্থ্যশিক্ষার পাশাপাশি দেওয়া হয় পুষ্টিশিক্ষা। বয়স্ক, কিশোর–কিশোরী ও প্রতিবন্ধীদের লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হয়। এখান থেকে ২৭ রকমের ওষুধ ছাড়াও শিশুদের অণুপুষ্টিকণার প্যাকেট দেওয়া হয়।

এই মধুসূদনপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদানকারী জনাব মোঃ নূর আলম, সিএইসসিপি বলেন, “আমাদের মধুসূদনপুর কমিউনিটি ক্লিনিক হচ্ছে পবা উপজেলার ভিতরে অবস্থিত অন্যতম সেরা একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। আমাদের এই ক্লিনিকে সবার জন্যই পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। বিশেষ করে অসহায় হতদরিদ্রবা বেশি সেবা পায়। সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশের সাধারণ অসহায় দরিদ্র মানুষেরা চিকিৎসা নিবে সেজন্য পূর্বের তূলনায় বর্তমান সময়ে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো আরো আধুনিক এবং সুসজ্জিত ভাবে পূর্ণনির্মাণ করেছেন। আমরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসা সকলকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দিতে পারছি। আমাদের এই কমিউনিটি ক্লিনিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঔষুধ সহ আরো চিকিৎসা সামগ্রী নিয়মিত আসে, সেজন্য আমরা এই খাতে কর্মরত সকল উদ্ধর্তন কর্মকতাগণ কে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই”।

পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকতা রাবেয়া বসরী বলেন, “আমাদের পবা উপজেলায় অবস্থিত প্রতিটি ক্লিনিকে তিনজন সেবাকর্মী আছেন। মূল দায়িত্বে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)। এই পদের জন্য নারী ও এলাকার মানুষকেই সরকার প্রাধান্য দিয়েছে। সিএইচসিপির সপ্তাহে ছয় দিন ক্লিনিকে থাকেন। তাকে সহায়তা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাঠকর্মী, যাকে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে সবাই চেনে। তিনি তিন দিন ক্লিনিকে উপস্থিত থেকে সেবা দেন। এ ছাড়া পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠকর্মী বা পরিবারকল্যাণ সহকারী তিন দিন ক্লিনিকে সেবা দেন। ক্লিনিকে চিকিৎসকের কোনো পদ নেই” ।