মোঃবেল্লাল হোসেন,দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় ২০২২ইং সনের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের
প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মহিউদ্দিন আল হেলাল এর উদ্যেগে ২০২২ইং সনের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন কারি শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষার আয়োজন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, বোর্ড পরীক্ষার আদলে যে ভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় তেমনি সকাল ১০টায় উপজেলায় মোট ৩৬ টি মাধ্যমিক-মাদ্রসার মোট ১ হাজার ৭ শত শিক্ষার্থী ২০২২ইং সনের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহকারী শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতিমূল পরীক্ষায় অংশগ্রহ করেন। তাদের মেধা যাচাইয়ের জন্য প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষার আযোজন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলায় ১৪টি কেন্দ্রে ৩৬ টি মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা আনন্দ ও উৎসাহ নিয়ে পরীক্ষায় অংগ্রহ করেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিলক্ষিত হয় ভিন্ন মাত্রার আমেজ। পরীক্ষার্থীদের বাবা, মা ও আতœীয়স্বজনদের ছিলো চোঁখে পড়ার মতো ভীর। ছেলে-মেয়েদের অপেক্ষায় পরীক্ষা কেন্দ্রের বাহীরে অপেক্ষা করতে দেখা যায় অভিভাকদের।
দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ বলেন, করোনা কালীন সময় পড়াশুনা তেমন করিনি তবে এই পরীক্ষার কথা শুনে দিন-রাত এক করে ১ সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে আজ ২টি(গনিত,ইংরেজী) বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে ভালো লাগলো।
নেহালগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল বশার বলেন, এই প্রথম উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে প্রস্তুতি মূলক পরীক্ষা। পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন ছিলো সৃজনশীল । এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে পড়াশনায় নতুন উদ্যোম তৈরী করবে।
চরহোসনা সিনিয়র মাদ্রসার অধ্যক্ষ নুরে আলম ছিদ্দিকি বলেন, দাখিল পরীক্ষার্থীদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা সত্যি দশমিনা উপজেলায় এই প্রথম উদ্যেগ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবমূখর পরিবেশ ছিলো। মাদ্রসায় ৮৫% শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলো।
অপেক্ষামান অভিভাবক অদির চন্দ্র এর সাথে কথা হয় তিনি বলেন, নির্বাহী
কর্মকর্তা স্যারের এটা উপজেলায় প্রথম একটি মহৎ উদ্যোগ এতে করে ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনায় নতুন মাত্রা যোগ হবে। মেয়েকে পরীক্ষার হলে দিয়ে এসেছি এখোন মেয়ের জন্য অপেক্ষা করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো.মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের ৪ কার্যদিবসের নোটিশে প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার গুনগত মান প্রসারে আমার এ প্রচেষ্টা। এই পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের জন্য।
প্রশ্ন কারা হয়েছে সর্বোচ্চ শতর্কতা অভলম্ভন করে । এ পরীক্ষার খাতায় ছিলো ডিজিটাল গোপন কোর্ড যা শিক্ষার্থী নির্নয় করা যাবে রেজাল্ট পাবলিস্ট হবার পর। উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদেন নিয়ে ট্যাগ নিয়োগ করে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। পরীক্ষার নিয়ম-কানন ছিলো বোর্ড পরীক্ষার আদলে। এত করে শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ হবে এবং পড়াশুনার প্রতি মনোযোগি হবে। এ প্রস্তুতিমূল পরীক্ষায় গড়ে ৮৫% শিক্ষার্থী উপস্থিত হন।