কাজি মোস্তফা রুমি, ৩০০ বিঘা জমির আধা পাকা ইরি-বোরো ধান নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কৃষক।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে গতকাল বুধবার স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার লোকেরপাড়া ইউনিয়নের ৩টি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত ১১৫ জন কৃষক এই লিখিত অভিযোগে সই করেছেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, লোকেরপাড়া ইউনিয়নের গৌরিশ্বর মৌজায় এমএসটি নামে ইটভাটাটির চারপাশে রয়েছে গৌরিশ্বর, বিল গৌরিশ্বর এবং দশআনি বকশিয়া গ্রামের কৃষি জমি। ইটভাটা থেকে নির্গত গরম বিষাক্ত গ্যাসে ৩ গ্রামের প্রায় ৩০০ বিঘা জমির ইরি-বোরো ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন কৃষক জানান, অনেক খরচ করে জমিতে ধান রোপণ করেছিলেন তারা, ফলনও হয়েছিল বেশ ভালো। আর মাত্র ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পরেই নতুন ফসল ঘরে তোলার অপেক্ষায় ছিলেন তারা। তবে ইট ভাটার তাপ ও বিষাক্ত গ্যাসে সব ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে ইটভাটার মালিক ফজলুল হক তালুকদার বলেন, ‘ধান নষ্ট হয়েছে এটা ঠিক। তবে, দেখতে হবে যে এটা ইটভাটার কারণে হয়েছে, নাকি পোকার আক্রমণে বা অন্য কোনো কারণে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি সত্যি ইটভাটার কারণে ধানের ক্ষতি হয়ে থাকে তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান বলেন, ‘আমরা সরেজমিনে দেখব প্রকৃতপক্ষে কেন ধানগুলো নষ্ট হয়েছে। এরপর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হবে।’
ঘাটাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিয়া চৌধুরী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘কৃষি কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরীক্ষা করার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Print [1]