কাজী মোস্তফা রুমি : টাঙ্গাইলে চাহিদামত মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। যে সব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে তাতে লিটার প্রতি দাম নেয়া ২০০ টাকা।
তেল নিয়ে তেলেসমাতির এমন কারসাজিতে বোতলজাত সয়াবিন তেল উৎপাদনকারী কোম্পানির ডিলারদের দোষছেন খুচরা বিক্রতারা। ঈদকে সামনে রেখে হঠাৎ করেই বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে- মুদি দোকানগুলোতে নেই বোতলজাত সয়াবিন, কিছু দোকানে অল্প কিছু বোতল দেখা গেলেও চাহিদামত পাচ্ছে না ক্রেতারা।
দোকানিরা জানিয়েছেন, বোতলজাত সয়াবিনের চেয়ে খোলা সয়াবিনের দাম বেশি থাকায় অনেকে কারসাজি করে বোতল থেকে বের করে খোলা হিসেবে বিক্রি করছে। এতে প্রতি কেজিতে প্রায় ২৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি করতে পারছে তারা।
জেলার ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী বাজারের মুদি দোকানি আল আমিন ও আব্দুল হালিম বলেন, রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন তেল কোম্পানি গুলোর কারসাজিতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়েছে।
তারা আরও বলেন, আমরা তেল কোম্পানির ডিলারদের কাছে তেলের অর্ডার দিলে বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দেন। এক কাটুন তেলের সাথে ৫ কেজি ওজনের ১ প্যাকেট আটা, ৩ ডজন ধনিয়া, ৩ ডজন গুড়া মসলা, সরিষার তেল ইত্যাদি নিলেই কেবল ১ কাটুন তেল মিলবে।
আরেক ব্যবসায়ী রফিকুল জানান, ১০ কাটুন সয়াবিন চাইলে ১ কাটুন পাওয়া যায়। এতে ক্রেতাদের দাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
তেল কিনতে আসা গোবিন্দাসী পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার আব্দুল মান্নান বলেন, হঠাৎ বাজারে সয়াবিন তেল নেই। এর আগে ১৮০ টাকা করে কিনেছিলাম৷ আজ ২০০ টাকা করে কিনলাম।
আব্দুল মান্নানের মতো একই অভিযোগ আবুবকর, সুরমান আলী, লিটন মিঞাসহ আরো অনেকে।
তারা বলেন, দোকানগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। যে সমস্ত দোকানে পাওয়া যাচ্ছে সে সমস্ত দোকানগুলোতে প্রায় দ্বিগুণ দাম নেয়া হচ্ছে
Print [1]