ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২২ , আজকের সময় : শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

অপহরণের দায়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সজিব গ্রেফতার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা পুলিশের অভিযানে অপহরণ মামলার প্রধান আসামি নওদা আজমপুর, বর্তমান আমলা এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক এইচ এম সজিবকে গ্রেফতার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ।

এজাহার সূত্রে জানাযায় কক্সবাজার জেলার মোঃ জোহার নামে এক ব্যাক্তি গত ২৩/০৪/২০২২ তারিখে দৌলতপুর থানাধীন বেগুনবাড়ী গ্রামে তার ধর্ম ভাই আবু আফফান, মামুন, ভুলা’র বাড়িতে ঘুরতে আসে, পরে ২৪/০৪/২২ ইং তারিখে দৌলতপুরের কল্যাণপুর বাজার জামে মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হয়ে রাস্তায় উপস্থিত হলে একটি সাদা রং এর হাইচ গাড়ি এসে জোহরের সামনে থেমে যায় এবং গাড়ির দরজা খুলে জোহার কে জোরপূর্বক গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়।

পরে সেখান থেকে জোহরকে তারা নিয়ে যায় মিরপুর থানার আমলা গ্রামের একটি বাড়িতে সেখানে জোহারকে মারধর সহ নানা প্রকার শারীরিক নির্যাতন করে সজিব ও তার সহযোগীরা, পরে জোহারের মোবাইল ফোন থেকে বোন তাসলিমার সাথে যোগাযোগ করে বিকাশ, রকেট, নাম্বারে দাবি করা হয় পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপন।

এবং এর মধ্যে তাসলিমার কাছে মাঝে মধ্যে কল করে মোবাইল ফোন লাইনে থাকা অবস্থায় নির্যাতন চালনো হয় জোহারের উপর আর নির্যাতনের সেই অত্নচিৎকার শোনানো হয় বোন তাসলিমা ও তার পরিবারকে।

জোহারের পরিবার কোন দিশে না পেয়ে যোগাযোগ করে দৌলতপুরের ধর্ম ভাই মামুনের সাথে, এবং বলে যত টাকা লাগে আমার ভাইকে উদ্ধার করেন।

এমন অবস্থায় মামুন যোগাযোগ করে দৌলতপুর থানা পুলিশের সাথে, পুলিশকে দেয় মোবাইল নাম্বারে সহ বিস্তারিত তথ্যদী। এ তথ্যের ভিত্তিতে ২৫/০৪/২০২২ তারিখ রাতে আমলা এলাকায় অভিযানে নামে দৌলতপুর থানা পুলিশ, অভিযানের একপর্যায় ভোর আনুমানিক চারটার দিকে অপহরণের মূলপরিকল্পনাকারী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সজিবকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সজিব অপহরণ ও মুক্তিপনের বিষয়টি শিকার করে ও তার সাথে জড়িত আরো ছয়জনের নাম উল্লেখ করেন।

ঐ দিনেই সকাল সাতটার দিকে আমলা গ্রামের বিলের ধারে পুলিশ আবার অভিযান চালালে, পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে জোহার কে চোখ হাত বাধা অবস্থায় সজিবের সহযোগীরা ফেলে রেখে পালিয়ে যায়, পরে জোহার কে দৌলতপুর থানা পুলিশ উদ্ধার করে।

এঘটনায় দৌলতপুর থানায় জোহার নিজেই বাদী হয়ে সজিব সহ তার আরো ছয়জন সহযোগীর নামে একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ৬৫/১১৬।