কাজি মোস্তফা রুমি : ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। তবে, কারাবন্দীদের জন্য এক ভিন্ন রকম চিত্র। পরিবার-পরিজন ছাড়া ঈদের দিনটি কাটাতে হয় তাদের। ঈদের এই বিশেষ দিনে স্বজনদের সঙ্গে দেখা একজনর দেখা মিললেও গত দুই বছর করোনার কারণে দেখা-সাক্ষাতের সুযোগ পাননি কারাবন্দীরা।
করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় এবার
ঈদুল ফিতরের দিন টাঙ্গাইল জেলা কারাবন্দিরা পাচ্ছেন বিশেষ খাবার ও সুবিধা। দিনব্যাপী পরিবারের সঙ্গে দেখা করাসহ উন্নত মানের ও নানা সুবিধা পাবেন তারা। এ ছাড়াও, নারী কারাবন্দিদের শিশু সন্তানরা পাবে নতুন পোশাক।
ঈদের দিন খাবারের তালিকায় রয়েছে- সকালে সেমাই, মুড়ি। দুপুরে পোলাও, গরু, খাসির মাংস, মুরগির রোস্ট, সালাদ, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, ড্রিংকস ও পান সুপারি। রাতে রয়েছে সাদা ভাতের সঙ্গে বোটের লটপটি ও মাছ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে ১ হাজার ৪৩৫ জন হাজতি ও কয়েদি রয়েছে। তারমধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৩৭০ জন ও নারী ৬৫ জন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এই বন্দিদের জন্য এ দিন স্পেশাল সুবিধার ব্যবস্থা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া ঈদের জামায়াতের পর থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বন্দিরা তাদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন। ওইদিন প্রতিজন বন্দি সাক্ষাতের সময় পাবেন ১০ মিনিট করে।
অপরদিকে, পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় পাবেন ৭ থেকে ৮ মিনিট করে। কারাগারে ৬৫ জন নারী বন্দির মধ্যে ৮ জনের শিশু সন্তান রয়েছে। তাদের সন্তানদের জন্য নতুন জামা-কাপড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন সকাল ৯টায় কারাগারের ভেতরে ঈদের জামায়াত হবে। ঈদের জামায়াত পড়ানোর জন্য বাইরে থেকে ঈমাম নিয়োগ দেওয়া হবে।
টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, অন্যান্য সময়ের চেয়ে ঈদের দিন কারাবন্দিদের জন্য বেশ কিছু সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন উন্নত মানের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। নারী বন্দিদের মধ্যে ৮ জনের সন্তান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমরা নতুন পোশাকের ব্যবস্থা করেছি। কারাবন্দিরা ওইদিন ঈদের জামায়াতের পর থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তাদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা ও ফোনে কথা বলার সুযোগ পাবেন। এ ছাড়াও, ওইদিন আরও কিছু বিশেষ সুবিধা রয়েছে তাদের জন্য।
Print [1]