ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : সোমবার, ২ মে, ২০২২ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

দশমিনায় আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের ইফতার ও দোয়া মিলাদে মারামারি, আহত ২৫

মোঃবেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন (যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ) এর ইফতার ও দোয়া মিলাদে মারপিট ও ভাংচুরের ঘটনায় ২৫ জন আহতের ঘটনা ঘটে।

রবিবার বিকেলে বেগম আরেফাতুনন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠে এ ইফতার ও দোয়া মিলাদের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মিছিল সহকারে প্যান্ডেলে প্রবেশ করে। সঞ্চালনকে কেন্দ্র করে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাসির পালোয়ানের সাথে উপজেলা যুবলীগের সংগঠনিক সম্পাদক এর সাথে কথা কাটাকাটি হয়।

কথা কাটাকাটির এক পর্যায় দুই সমর্থকদের মাঝে রক্তাক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।এ ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাসির পালোয়ান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল-আমিন মুন্সি, যুবলীগের সহ-সভাপতি কাজী শাকিল, সবেক ছাত্র নেতা রেজাউল করিম, ছাত্র নেতা যাবেদ আহমেদ রাজ, ইব্রাহিম প্যাদা সহ ২৫ জন গুরুতর আহত হন।বর্তমানে দশমিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ঘটাস্থলে স্থানীয় সংসদ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপস্থিত হয়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেস্টা করলে ব্যর্থ হন। পরে থানা পুলিশ উত্তপ্ত পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করেন।

প্রধান অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য বলেন, দশমিনা উপজেলায় স্মরন কালের এই প্রথম ইফতার দোয়া অনুষ্ঠান আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন আয়োজন করে যা অনেকের গাত্রদাহ সৃষ্টি করে।মূলত তারা এই ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানকে বাঞ্চাল করার জন্য এ মারামরি করে এবং স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতির উপর সহস্র হামলা করে। সহযোগী সংগঠনের ঐক্যে ফাটল ধরানোর জন্য এ হামলা।

ইফতার ও দোয়া মুনাজাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহানের জন্য দোয়া হবে দেশ রত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্থ জীবন ও দীর্ঘায়ুর জন্য দোয়া হবে সেখানে এমন ঘটনা কাম্য নয়।

উপজেলা আওয়মীলরগের সধারন সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, আমি ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা বহিরাগত। এরা কখোনই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভালোবাসেনি। সুযোগ নেয়ার জন্য দলে এসে পদ পদবি নিয়ে ক্ষমতা দেখায় আর তাদের ভয়ে ত্যাগি নেতা কর্মীরা আজ কোনঠাসা। উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হাওলাদার, ছাত্রনেতা রেজাউল করিম, জাবেদ হোসেন রাজ, ইাব্রাহীম প্যাদা সহ অনেকে গুরুতর আহত হন। তাদের হাসপাতালে ভার্তি করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল আজীজ বলেন, আমি ঘটনা শুনে এসেছি। কে বা কারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স চিকিৎসক ডাঃ মিঠুন চন্দ্র হাওলাদার বলেন যারা ভর্তি হয়েছে তাদের মধ্যে আল-আমিন গুরুতর অসুস্থ। তাকে বরিশাল শে-রে-বাংলা হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরন করা হয়েছে।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, আওয়ামীলীগের ইফতার ও দোয়া মুনাজাত অনুষ্ঠানে মারামারির ঘটনার কথা শুনে পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে উত্তপ্ত পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখন পরিবেশ শান্ত।