ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ৩ মে, ২০২২ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

দশমিনায় ইউএনওর উদ্যোগে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায়

 

মোঃবেল্লাল হোসেন
দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মহিউদ্দিন আল হেলালের উদ্যোগে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ৭.৩০মিঃ এর সময় দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ঈদ-উল-ফিতরের প্রথম জামায়েত অনুষ্ঠিত হয়।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, কোভিড-১৯ করোনার প্রাদুর্ভাবে সারা বাংলাদেশের ন্যায় উপজেলায় দুই বছন ইদ-উল-ফিতরের নামাজ স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যেগে স্মরন কালের শ্রেষ্ট উদ-উল-ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর প্রায় ৫ হাজার মুসল্লীদের আগমন পরিলক্ষীত হয়। ঈদগাহের মাঠ মাধুর ও বাহারী রং এর কাপড়ে মুরিয়ে দেয়া হয়। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লীদের মাঝে আনন্দ পরিলক্ষিত হয়। নামাজ শেষে সকলে আনন্দ ও উৎসাহ নিয়ে ময়দান ত্যাগ করেন।

মুসল্লীেএনায়েত হোসেন খান বলেন, ইউএনও স্যারের এমন উদ্যোগ উপজেলায়। এই প্রথম এমন উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার। উপজেলার বিভিন্ন জেলায় , বিভাগীয় শহরে লোক জন বিভিন্ন কর্মে থাকেন। তারা পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের উপলক্ষে সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে পরিবার পরিজনের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ কেরতে আসে। এ বছর আমারা এক সাথে অনেক লোক একই জামায়েতে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারছি তা সত্যি অবিশ্বস্য।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, আমরা আগে বিভিন্ন মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতাম । এ বছর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে এক সাথে এত মুসল্লী নামজ আদায় করতে পারলাম তা কখনো কল্পনায় ছিলোনা। সুন্দর পরিবেশে নামাজ আদায় করতে পেরে নির্বাহী কর্মকর্তাাসহ সকলকে ধন্যবাদ জানাই।

কেন্দ্রীয় মসজিদের সাধারন সম্পাদক সিকদার গোলাম মোস্তফা বলেন, দশমিনা উপজেলার ইতিহাসে এটাই প্রথম বারের মতো ঈদ-উল-আজাহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এত মুসল্লী এক সাথে নামাজ আদায় করতে পারেনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, উপজেলায় কোন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান নেই । আমি উপজেলার মসজিদের ইমাম সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকদের সাথে মতবিনিময় করে সিদ্ধান্ত হয় এ বছর বিশদ পরিসরে ঈদের নামাজের আয়োজ করবো । সকলে চেষ্টার মাধ্যমে এবং সহযোগিতায় এ আয়োজ করেছি। মুসল্লীদের সমাগমে এ আযোজন সার্থক হয়েছে।

ঈদ-উল-ফিতরের প্রথম জামায়েত পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা রেজাউল করিম।