ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ৪ মে, ২০২২ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

দশমিনায় আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সন্মেলন

মোঃবেল্লাল হোসেন দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালী দশমিনায় উপজেলা আওয়ামীলীগ কর্যালয়ে আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের সংবাদ সন্মেলন ও মানববন্ধন করা হয়। সকাল ১১টায় ও বিকেল ৪ টায় আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের দু’গ্রুপে পৃথক সংবাদ সন্মেলন ও মানববন্ধন করে। গত রবিবার বিকেলে আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মুনাজাত এর আয়োজন করা হয়।

উক্ত ইফতার ও দোয়া মিলাদে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাসির পালোয়ান ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন হাওলাদর এর সাথে উপজেলা যুবলীগের নেতাকর্মীদের নাম প্রচার না করায় বাকবিতন্ডা এবং পরে দু’গ্রুপে রক্তক্ষয়ী মারামারি হয়।

উক্ত মারামারিতে আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের ২৫-৩০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। রবিবারের ইফতার ও দোয়া মুনাজাতে মারামরি করায় সোমবার ২রা মে সকাল ১১টায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতির নেতৃত্বে সংবাদ সন্মেলন ও মানববন্ধন কারা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক অরুপ কর্মকার, সহ-সভাপতি রমিজ মোল্লা, শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ বেল্লাল হোসেন সরদার, সাধারন সম্পাদক মহসিন জোমাদ্দার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সধারন সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন সবুজ মহল্লাদার, সাধারন সম্পাদক হাসান সেরেনিয়াবাদ, কলেজ ছাত্র লীগের সভাপতি রাকিব হোসেন, সাধারন সম্পাদক হাফিজ প্রমূখ।

সংবাদ সন্মেলনের মূখপাত্র উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাসির পালোয়ান বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা ঐক্য বদ্ধ। তাতে ফাটল ধরানোর জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ লিটন গতকাল ইফতার ও দোয়া মুনাজাত অনুষ্ঠানে ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল-আমি মুন্সি সহ ১০-১২ জনকে গুরুতর আহত করান।

এ দায়ভার তাকে নিতেন হবে। কারন তিনি পূর্বেও এহেন কর্যক্রম করেন। পূর্বের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করার জন্য মরিয়া হয়ে ত্যাগি নেতা কর্মীদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে একের পর এক মামলা, হামলা ও মারধর করাচ্ছেন। সাধারন সম্পাদক এর সন্ত্রাসী কর্যক্রমে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের বৃহৎ অংশ নিন্দা জানান।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন সবুজ বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ক্ষমতা ভোগ করার জন্য রাতকে দিন আর দিন কে রাত করতে পিছু হাটেনা।তিনি পূর্বেও জেলা ও উপজেলার ত্যাগী নেতাদের প্রকাশ্যে মারধর করার প্রমান আছে যা দশমিনার উপজেলার তৃনমূল নেতাকর্মীরা জানেন। বিকাল ৪ টায় উপজেলা আওয়ামীলীগে স্থায়ী কার্যালয়ে উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান এর নেতৃত্বে সংবাদ সন্মেলন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি নুরুল হক হাওলাদার, যুবলীগের সহ-সভাপতি জুয়েল মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন হাওলাদার, ছাত্র নেতা রেজাউল করিম, ইব্রাহীম প্যাদা, জাবেদ আহমেদ রাজ, দশমিনা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোফাজ্জেল চৌধুরী মায় প্রমূখ। সংবাদ সন্মেলনে মিজানুর রহমান মিজান বলেন, বর্তমান এমপি মহোদয় এস এম শাহজাদা আওয়ামীলীগের কোন লোক নন। তিনি বর্তমানে উপজেলার ত্যাগী আওয়ামীলীগ কর্মীদের ছিন্ন-ভিন্ন করার জন্য কাজ করছেন।

রবিবারের ঘটনায় তার প্রমান বহন করে।তিনি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতিকের প্রার্থীকে সমার্থন না করে সতন্ত প্রার্থীদের সমর্থ দেন। তার কর্মকান্ডে প্রমান করে তিনি আওয়ামীলীগের কোন লোক নন। যুবলীগের সভাপতি বিএনপি থেকে আসা।তার বাবা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। তিনি আরো বলেন গত স্হানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে তিনি সহ তার পরিবারের সবাই হাত পাক্ষার পক্ষে কাজ করে। রবিবারের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কোন ভাবে জড়িত নয় দাবি করা হয় ।

এমপি সাহেব এর সাথে আসা বাবু গৌতম রায় আমাদের মারদর করার জন্য নির্দেশ দেন, পরে এমপি মহোদয় পুলিশকে লাঠি চার্জ করে সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন তাহাতে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন ভুট্টো বাঁধা দিলে এমপি মহোদয় তার গলা চেপে ধরে হত্যা করার চেষ্টা করেন। সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে এহেন কাজের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

তিনি আরো বলেন এমপি সাহেব তাহার সারে তিন বছরের দায়িত্বে আত্নীয়করন প্রচলন করে ত্যাগী নেতাদের কোনঠাসা করে রেখেছেন। স্হানীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন,আমি আমার পরিবার কখোনই আওয়ামীলীগের মতাদর্শের বাহীরে ছিলো না। আমি ছাত্রলীগ থেকে আসা।

আমি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার আপ্রান চেস্টা করছি। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বলেন এমপির কার্যক্রম প্রায় সারে তিন বছর চলোমান।তিনি কোন নেতাকর্মীকে চিনেননা।মাদ্রাসা ও মাধ্যমিকে পরিচালনা পর্ষদে বিএনপি ও আত্নীয়দের বসিয়ে রেখেছেন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বরাদ্দ বিএনপি ও স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি কতৃক বাস্তবায় করে থাকে।