ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : সোমবার, ৯ মে, ২০২২ , আজকের সময় : রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

ব্রীজটি এখন গলার কাটা।

কাজী মোস্তফা রুমি: অপরিকল্পিত ব্রীজটি কাজে আসছে না এলাকাবাসীর। ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও স্বাভাবিক চলাচলের উপযোগী নয় ব্রীজটি। চলতে পারে না কোন প্রকার যানবাহন। এমনি এক আজব ব্রিজ নির্মাণ করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন। ব্রীজটি তৈরী করেছেন প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে।তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ ব্রীজটি এলাকার স্বার্থে নয় ব্যাক্তি স্বার্থে নির্মাণ করা হয়েছে এমন আজব ব্রীজ।
সরেজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের পুন্ডুরা চরপাড়া গ্রামে আকাশী দামপাড়া যাতায়াতের রাস্তায় একটি ছোট খালের উপড় নির্মিত হয়েছে এই আজব ব্রীজটি।দূর্যোগ ব্যাবস্হাপনা অধিদপ্তরের সেতু/ কালভার্ট কর্মসুচীর আ্ওতায় এ ব্রীজটি নির্মিত হয়েছে২০১৬-১৭ অর্থ বছরে। প্রকল্পের নাম আকাশী পুন্ডুরা -চরপাড়া মোঃ আদমের বাড়ীর পার্শ্বে সেতু নির্মাণ। ব্রীজটির দৈর্ঘ্য ২০ ফুট। এ ব্রীজটির নির্মাণ ব্যায় ধরা হয়েছে ১৫ লাখ ৯১হাজার ৭ শত ১৮ টাকা।
৫ বছর কেটে গেলেও ব্রিজের দুই পার্শে মাটি দ্ধারা ভরাট করা হয়নি। মাটি দ্ধারা ভরাট না করার ফলে যাতায়াতের উপযোগী হয়নি ব্রীজটি। ব্রীজের দুই পাশে খাড়া ঢালু থাকায় পায়ে হেটে চলাচল করতে পারলেও একটি রিক্সা ভ্যন নিয়ে চলাচল করা সম্ভব নয়। চলতে পারে না কোন যানবাহন। যে কারনে ব্রীজটি কোন উপকারে আসছে এলাকাবাসীর।
একাধিক এলাকাবাসী জানান ব্রীজটি অপরিকল্পিত ভাবে ব্যাক্তি স্বার্থে ব্রীজটি নির্মাণ করার কারনে কোন উপকারেই আসছেনা। এত টাকা ব্যায় করে ব্রীজটি নির্মাণ করায় ব্রীজের দুই পাশে মাটি না থাকায় কোন যানবাহন চলতে পারে না। বরং ব্রীজটি এলাকাবাসীর গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এক ষাটোর্ধ ব্যাক্তি বলেন এটা উন্নয়ন নয় বরং এলাকাবাসীর সাথে তামাশা করা। তিনি বলেন এলাকাবাসীর ব্রীজের প্রয়োজন। কিন্তু এমন ব্রীজ কারো প্রয়োজন নয়, যে ব্রীজ দিয়ে কারো উপকারে আসছেনা। ঠিকাদারের লাভের জন্যই এমন অকেজো ব্রীজ নির্মাণ করে রেখেছে সরকারে লাখ লাখ টাকা ব্যায় করে। এতে দেশের সম্পদ নষ্ট হয়েছে। ব্রীজটি কোন কাজে আসছে না।
এব্যাপারে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। যাতে করে ব্রীজের দুই পাশে মাটি দ্ধারা ভরাট করে যাতায়াতের উপযোগী করে দেয়া হয়।