গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জোরপূর্বক রাতের আধারে অবৈধভাবে ধানী জমি কেটে পুকুর খননের অভিযোগ পাওয়া গেছে । বিষয়টি নিয়ে জমির মালিক গোদাগাড়ী মডেল থানা, এসিল্যান্ড ও ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। দায়েরকৃত অভিযোগের সুত্রে জানা যায়, গত ২০ মে (বৃহস্পতিবার) রাজশাহী মহানগরীর গুড়িপাড়া এলাকার মৃত এমদাদুল হকের ছেলে শামীম ও পবা উপজেলার আসগ্রাম এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে সামসুল দুই জন মিলে গোদাগাড়ী উপজেলার ৭ নং দেওপাড়া ইউনিয়নের ইদলপুর (গোল শহর) নামক স্থানে একটি পুকুরে মাছ চাষ করে আসছে। ওই পুকুর সংলগ্ন দেওপাড়া ইউনিয়নের রাজাবাড়ী হাট এলাকার বাসিন্দা হাজী আব্দুল লতিফ এর নিজ নামিও তফশিল ভুক্ত জমি রয়েছে ।
বিবাদী শামিম ও শামসুল দুই জন মিলে জোরপূর্বক রাতের আধারে স্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে প্রায় এক বিঘা জমি বিনা অনুমতিতে জোরপূর্বক খনন করেন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পুকুর খননের বিষয়টি তার বর্গাচাষী’র মাধ্যমে জানতে পারেন। তাৎক্ষনিক ভাবে বিষয়টি নিয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানা, এসিল্যান্ড ও ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জমি মালিক হাজী আব্দুল লতিফ। এরই প্রেক্ষিতে বিকেল ৪ টায় গোদাগাড়ী সহকারী ভুমি কমিশনার (এসি ল্যান্ড) তাছমিনা খাতুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পান আইনানুগ ব্যবস্থা নেন। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শামিম ও শামসুল সু কৌশলে পালিয়ে গেলেও তাদের প্রতিনিধি পুকুর ও স্কেবেটার পাহারাদার আব্দুর রকিব কে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত ।
এইদিকে হাজী আব্দুল লতিফ ইতিপূর্বে কয়েক দফা ভুমিদস্যু শামিম কে পুকুরের পাড় ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি অবগত করলেও কোনো কর্ণপাত করেন নাই। উল্টে পুকুরের লক্ষ টাকার মাছ বিষ প্রয়োগ করে মেরে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়।
স্থানীয় সুত্রে আরো জানা যায় কয়েক মাস থেকে গোদাগাড়ী দেওপাড়া ও গোগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ফসলী জমি নষ্ট করে পুকুর খনন সহ স্কেভেটার মেশিন দিয়ে মাটি কেটে লক্ষ লক্ষ টাকার বিক্রয় বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৃথক পৃথক ভাবে কয়েকটি সিন্ডিকেট মিলে রাত দিন সমান তালে এসব অবৈধভাবে পুকুর ও মাটিকাটা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়।
এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভুমি) তাশমিনা খাতুন বলেন, আজ দুপুরে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ আসলে আমি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আমলে নিয়ে ততক্ষনাৎ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে আমার আসার খবর পেয়ে অপরাধিরা পালিয়েছে। আমার কাছে অপরাধির ছাড় নেই। ভুমি সংক্রান্ত কোন অনিয়ম বা অপরাধ দেখলে আমাকে জানাবেন আমি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
Print [1]