রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীর সবচেয়ে বড় বিনোদন ও আড্ডার জায়গা হলো নগরীর কোলঘেঁসা পদ্মাপাড়। পদ্মাপাড়কে ঘিরে বিনোদনের নানা আয়োজন থাকলেও বিনোদনের নামে চলছে অশ্লীলতা। রাজশাহী বাসীকে দেশের সেরা বিনোদন কেন্দ্র উপহার দেওয়ার জন্য পদ্মাপাড়ে শত শত কোটি টাকা খরচ করছেন বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের সম্মানিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। অথচ সেই উন্নয়ন আর বিনোদন কেন্দ্রের মুখে চুনকালি দিতে নানা অপকর্মের জন্ম দিচ্ছে রাস্তা ও ফুটপাতে অবৈধভাবে ব্যবসা করা ফুচকা চটপটির দোকানীরা। তারা হরহামেশায় ঝোপঝাড়ের ( চরে গজে উঠা কাঁশিয়া) ফাঁকে চেয়ার পেতে দিচ্ছে উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের। আবার সেই ছেলে মেয়েদের হয়রানি ও লাঞ্চিত করতে তৎপর রয়েছে এক দল টোকাই বাহিনী। মাঝে মাঝেই শোনা যায় কারো ব্যাগ ছিনতায়, কারো মোবাইল ছিনতায়ের খবর। আরার পদ্মাপাড়ে ঘুরতে আসা ছেলে মেয়েদের সুকৌশলে ব্ল্যাক মেইলের করা হয়। তারা মান সম্মানের ভয়ে মুখ খুলতে পারেনা। অথচ ফুচকা চটপটির দোকানীদের পেতে রাখা চেয়ারে বসলে অনেকটায় নিরাপদ। তাহলে বলা যেতে পারে সেই টোকাইগুলো তাদের ( চটপটি ব্যবসিক)। এখানেও সমস্যা হচ্ছে চেয়ারে বসলেই খেতে হবে দ্বিগুন দামের ফুচকা চটপটি। এছাড়াও বড় ছাতা দিয়ে ঢাকা চেয়ারের মূল্য আরো বেশি। তবে সরেজমিন ঘুরে দেখা মিলেছে এমন অনেক ভুক্তভোগীর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা মাঝে মাঝে ঘুরতে আসি, এখানে প্রতিটি জিনিসের দাম অনেক বেশি। কি করবো সময় কাটানোর জন্য বেশি দাম দিয়েই খেতে হয়। তবে সকলের দৃষ্টি ঐ ছাতার দিকে! ছাতাগুলো দেওয়া হয় চক্ষু আড়াল করে।। যা বর্তমানে সকলের দৃষ্টিকটু হচ্ছে।
গত ২২ মে (রবিবার) এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে পদ্মা পাড়ের চির চেনা শিমলা পার্ক, বিজিবি পরিচালিত সিমান্ত অবকাশের পশ্চিম সাইডে। সেখানে দেখা মিলেছে উঠতি বয়সের স্কুল কলেজ পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। তবে শিক্ষার্থী ও প্রেমিক প্রেমিকাদের অশ্লিলতার অনন্য নিদর্শন হিসেবে জায়গা করে দিচ্ছে অবৈধভাবে রাস্তায় ব্যবসা করা ফুচকা চটপটির দোকানদাররা। অথচ এই পদ্মাপাড়েই হচ্ছে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা, যা থেকে মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন। তবে এই অশ্লীলতা নিয়ে নানা মুখে আলোচনা হলেও কোন ভাবেই পদক্ষেপ নিচ্ছেনা পুলিশ প্রশাসন। তাহলে কি পুলিশ??
এমন অশ্লীলতার বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া মুখ্যপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করেও তিনিও ফোন রিসিভ করেননি। সুশীল সমাজ মনে করছেন শিক্ষা ও শান্তির নগরীতে এমন বেহায়াপনা ও অশ্লীল দৃশ্য বন্ধে পুলিশের হস্তক্ষেপ জরুরি। এছাড়াও এগুলো বন্ধে সাথে স্কুল কলেজ কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে।
Print [1]