ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : রবিবার, ২৯ মে, ২০২২ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

রাজশাহীতে মির্জা নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবীতে রাস্তায় আন্দোলন

রাজশাহী ব্যুরোঃ শিক্ষা নগরী রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের দাবী আদায়ের আন্দোলনে মুখরিত মির্জা নার্সিং কলেজ। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন থেকে নানা অনিয়ম ও প্রতিশ্রুতি খেলাপি সহ ৫ দফা দাবীর কথা বার বার বললেও কোন সরুহা করে দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ২৮ মে (শনিবার) বাধ্য হয়ে নায্য দাবী নিয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার সকাল থেকে শুরু করে রবিবার সারাদিন ক্যাম্পাসের মুল ফটক বন্ধ করে রাস্তায় আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তবুও তাদের এই নায্য দাবী আদায়ের বিষয়ে কোন ভ্রুক্ষেপ করছেন না কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে চরম বিভ্রান্তে ভুগছেন ঐ কলেজে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা। মিডিয়া কর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে, তারা বলছে এই কলেজটি বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতে জর্জড়িত।

আমরা আমাদের যে দাবী নিয়ে আজ রাস্তায়, অবশ্যই সেটা নায্য। ১. ক্লিনিক্যাল প্র্যাক্টিস চাই। ২. কলেজ পরিক্ষার জন্য নিজ ক্যাম্পাসে কেন্দ্র চাই। ৩. কলেজের নিজস্ব হোস্টেল চাই। ৪. নিয়মিত ডক্টর/ প্রফেসর দিয়ে পাঠ দান। ৫. মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের নিয়ম অনুসারে কলেজ পরিচালনা করতে হবে। আমরা এই সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি শুরু থেকে।

এবার আমাদের দাবী না মানলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব। তবে মিডিয়া কর্মীর অনুসন্ধানে দেখা গেছে এই কলেজের নানা দুর্নীতি রয়েছে। একজন শিক্ষার্থীকে ভর্তির সময় যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভর্তি করানো হয়, বাস্তবে তা করা হয়না। এর মধ্যে অন্যতম, ডিপ্লোমা নার্সিংয়ের পুরো প্যাকেজ হিসেবে মেয়েদের জন্য এক লক্ষ চল্লিশ হাজার এবং ছেলেদের জন্য এক লক্ষ আসি হাজার টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

আবার পরিক্ষা শেষে মৌখিক পরীক্ষার নামে মাথা প্রতি নেওয়া হয় ৫ – ১০ হাজার টাকা, যা রীতিমত অবৈধ। এছাড়াও উক্ত প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরী থাকলে সেখানে প্রয়োজনীয় বইনেই, নেই কোন ল্যাব। বিএসসি শিক্ষার্থীদের দাবী এই প্রতিষ্ঠানে তাদের শিক্ষাদানের জন্য নেই পর্যাপ্ত ইন্সট্রুমেন্ট। একজন শিক্ষক দিয়েই সকল বিষয়ের ক্লাশ নেওয়া হয়। এই কারনে মৌখিক পরিক্ষা দিতে গিয়ে পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়।

তবে এ সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি অস্বিকার করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ মোসাঃ নার্গিস বানু। কলেজে কতজন শিক্ষক রয়েছেন, কলেজটির শেষ অডিট কবে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি ব্যাস্ততা দেখিয়ে চলে যান। তবে গোপন সুত্রে জানাযায় কলজটিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নার্সিং অধিদপ্তরের শেষ অডিট হয়েছে ২০১৭ বা ১৮ সালে।

অর্থাৎ কলেজটির প্রতিষ্ঠাকালে। পরবর্তিতে নাম মাত্র পরিদর্শন দেখানো হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের প্রফেসরকে দিয়ে। তবে অডিট নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা আগামী পর্বে তুলে ধরা হবে।