কাজি মোস্তফা রুমি, স্টাফ রিপোর্টার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আজ রোববার জাতীয় সংসদে বলেছেন, গত জানুয়ারিতে বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ৫৬ ডলার যা এখন বেড়ে ১২০ ডলারের বেশি হয়েছে। স্পট মার্কেটে এলএনজির দামও অনেক বেড়ে গেছে।
জ্বালানি তেল ও এলপিজির দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব যেন দেশের জনগণের ওপর না পরে, সেজন্য সরকারের ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। সামগ্রিক বাজেটের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে এটি। এ ছাড়া, বাড়তি মূল্যে তেল ও এলএনজি কেনার ফলে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে এটি উত্থাপন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও বিচক্ষণ নির্দেশনার ফলে ইউক্রেন যুদ্ধের আঘাত বিশ্বের অনেক উন্নত ও অধিকতর সক্ষম দেশের তুলনায় বাংলাদেশে অনেকটাই কম পড়েছে। সরকার রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষতিকর প্রভাবকে প্রশমিত করতে ভালভাবেই সক্ষম রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তবে বিশ্বের সব দেশে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর এ যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব বহুমাত্রিক, বাংলাদেশেও এ যুদ্ধের বহুমাত্রিক প্রভাব রয়েছে।’
এই প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের ফলে আমদানি খরচ বেড়ে গেছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে, যা ভোক্তা মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিয়েছে। যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিলাস দ্রব্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে কিছু বাস্তবিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’
‘এ ছাড়াও, মার্কিন ডলাারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান যৌক্তিক রাখতে সরকারি কর্মকর্তাদের সব প্রকার এক্সপোজর ভিজিট, স্টাডি ট্যুর, ওয়ার্কশপ, সেমিনারে বিদেশ গমন বন্ধ করা হয়েছে। ব্যাংকারদের ক্ষেত্রেও একই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে’, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী