সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথায় দুগ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫জন আহত, বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের অনেককেই বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জুন) ভোরে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের সেনহাটি গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষচলাকালে একপক্ষের অন্তত ২০টি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গ্রাম্য দলাদলি ও দলীয় প্রভাব বিস্তার নিয়ে সেনহাটি গ্রামের কবির মল্লিক ও তার প্রতিপক্ষ একই গ্রামের দোলোয়ার মেম্বারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে রিবোধ চলে আসছিল। কবির মল্লিক জেলে থাকায় তার পক্ষে নেতৃ দেয় বড় ভাই মোহাম্মদ মল্লিক।
এই বিরোধের জের ধরে গত ১৫ জুন বৃহস্পতিবার রাতে দেলোয়ার সমর্থক স্থানীয় গ্রাম্য মাতুব্বর ফাগু মাতুব্বরের বাড়িতে দলপক্ষ নিয়ে মিটিং করা হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাগু মাতুব্বর ও ফরিদ নামের একজন কে আটক করে। পরেরদিন বৃহস্পতিবার ফাগু মাতুব্বর জামিনে আসলে এলাকা উত্তেজিত হয়। সন্ধ্যায় গৌড়দিয়া বাজারে দুই পক্ষ একত্রিত হলে বাজার উত্তেজিত হয় সেখান দেলোয়ার মেম্বার এর সমর্থক গোবিন্দপুর গ্রামের ওয়াজেদ এর ছেলে আফছার কে মারধর করে কবির মল্লিকের সমর্থক আবদুল মাতুব্বর গংরা। সারারাত এলাকা উত্তেজিত থাকলেও পুলিশি টহলের কারনে সংঘর্ষ হয়নি। আজ শুক্রবার ভোর রাতে দেলোয়ার মেম্বার এর সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায় কবিরের সমর্থকদের উপর। এতে ১৫ জন আহত হয়, এবং ২০টি বসতঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে ক্ষ্যান্ত হয় দেলোয়ার সমর্থকরা। প্রথমে কিছুক্ষন কবির সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়ালেও নিজেদের দলে লোক কম থাকায় পরোক্ষনে তারা মাঠ ছেড়ে দেয়। এই সুযোগে এই একতরফা হামলা চালায় তারা।
খবর পেয়ে সালথা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষকারীদের ইটের আঘাতে ও হামলায় সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শেক সাদিক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকা এখন শান্ত রয়েছে।
Print [1]