সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করা সেই তরুণীর অবশেষে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।ওই তরুণীর নাম চৈতি বিশ্বাস (২০)। তিনি উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের গুপিনাথপুর গ্রামের সুমন বিশ্বাসের মেয়ে। তারা ২ বোন ও ১ ভাই।
শুক্রবার(১৭ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে তাদের বিয়ে হয়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের জগন্নাথদি গ্রামের শুনীল মিত্রের ছেলে সুমন মিত্রের (২৭) সঙ্গে পাশ্ববর্তী গুপিনাথপুর গ্রামের চৈতি বিশ্বাসের প্রায় দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্প্রতি সুমন মিত্রের বিয়ের জন্য বিভিন্ন স্থানে পাত্রী দেখা শুরু করে পরিবার। পাত্রী দেখার খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল থেকে প্রেমিক সুমনের বাড়িতে ওই তরুণী বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। অবস্থান কর্মসূচির পর স্থানীয় মাতুব্বররা রাতেই বিয়ের আয়োজন করেন।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও গুপিনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা অমর কুমার বিশ্বাস বলেন,ওই মেয়েটি সকাল থেকে বিয়ের দাবীতে ছেলের বাড়িতে অবস্থান করেন। পরে মেয়ের সাথে কথা বলে জানাযায় তার সাথে ছেলেটার শারিরীক সম্পর্ক হয়েছে। এছাড়া এসংক্রান্ত বেশ কিছু ডকুমেন্টস স্থানীয় মাতুব্বরদের দিয়েছেন মেয়েটি। পরে স্থানীয় মাতুব্বররা বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাতেই বিয়ের আয়োজন করা হয়।
সুমন মিত্রের বাড়িতে অবস্থানরত ওই তরুণী চৈতি বিশ্বাস নিজেই এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুমনের সঙ্গে আমার প্রায় দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বিয়ের আশ্বাসে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। আমার কাছে ছবিসহ বিভিন্ন ডকুমেন্টস ছিলো। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা সবকিছু যাচাই-বাছাই করে দুই পরিবারের সম্মতিতে পরে রাতেই বিয়ে আয়োজন করা হয়।
এ বিষয়ে যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল রব বলেন, মেয়েটির অনশন শুরুর বিষয়টি জানতে পেরে দুই পরিবার ও এলাকাবাসীর সম্মতিতে রাতেই সামাজিকভাবে বিয়ের আয়োজন করা হয় এবং সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়।
Print [1]