1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
রাসিক ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনারের নেতৃত্বে চলছে অবৈধ ভাবে পুকুর ভরাট - dailynewsbangla
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

রাসিক ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনারের নেতৃত্বে চলছে অবৈধ ভাবে পুকুর ভরাট

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২
রাজশাহী ব্যুরোঃ  রাজশাহী নগরীর  ১৯ নং ওয়ার্ডের ছোটবনগ্রাম (পশ্চিম পাড়ায়) অর্থাৎ ছোট বনগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছন পার্শ্বে চলছে অবৈধ পুকুর ভরাট। উক্ত পুকুর ভরাটের ছবি নিতে গেলে উপস্থিত ক্যাডার বাহিনীর রোষানলে পড়তে হয় সাংবাদিকদের। নামহীন ঐ ক্যাডারের অসৌজন্যমূলক আচরনে বাধ্য হয়ে চলে যেতে হয় সেখান থেকে। বিষয়টি নিয়ে রাসিকের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম সুমনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঐ পুকুর ভরাটটি ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনার করছে।  আর পুকুর ভরাট করা যাবেনা এমন কোন আইন আমার জানা নাই। আমাকে সিটি কর্পোরেশন থেকেও বলা হয়নি যে, পুকুর ভরাটে বাধা দিতে হবে! ঐ জায়গাটির শ্রেনি হিসেবে পুকুর নয়,মাঠাল আছে। তবে তিনি স্বিকার করেছেন, বর্তমানে হরহামেশাই জমির শ্রেনি করা যায়।
২০০০ সালের  জলাশয় সংরক্ষণ  আইনের এর ২ (চ) ধারায় প্রাকৃতিক জলাশয়ের সংজ্ঞাভুক্ত করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত মামলার রায় পাওয়ার এক বছরের মধ্যে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিবকে এ আদেশটি বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। উক্ত গেজেটে উল্লেখ থাকে, কোন ব্যক্তি মালিকানা পুকুরও চাইলেই ভরাট করা যাবে না। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের এ সংক্রান্ত রায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে রুল শুনানিতে অ্যাডেভোকেট মনজিল মোরশেদ আদালতকে বলেন, পরিবেশ আইন-১৯৯৫  ও জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ এর বিধান অনুসারে যে কোনও জলাশয় ভরাট নিষিদ্ধ এবং ব্যক্তিগত পুকুর হলেও তা জলাধারের সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তা ভরাট করা যাবে না।
কিন্তু এই বিধি নিষেধ আইনকে আড়াল করতে নতুন কৌশলের অংশ হিসেবে উপরোল্লিখিত জমির শ্রেনী পরিবর্তন করা হয়েছে এমনটায় দাবী স্থানীয় কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমনের। এছাড়াও ক্যাডার বাহিনীর ক্ষমতায় নির্দ্বিধায় চালিয়ে যাচ্ছে পুকুর ভরাটের কাজ। পুকুরটি ভরাট হলে ঐ এলাকার শত শত বাড়ির পানি নিষ্কাসন বাধাগ্রস্থ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে, এমনটায় দাবী এলাকাবাসীর। তাই পুকুরটি ভরাট বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ঐ এলাকার অসহায় ভুক্তভুগী সাধারণ মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর  চন্দ্রিমা থানাধীন ছোট বনগ্রাম (পশ্চিম পাড়ায়) যে অবৈধ পুকুর ভরাট চলছে, এর মুলহোতা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আনোয়ার হোসেন (আনার)। স্বল্পদিনের ব্যবধানে ক্রয় সুত্রে প্রায় দেড় থেকে দু বিঘার পুকুরটির মুল মালিক হয়েছেন আনোয়ার হোসেন আনার দিং। এই পুকুরটি দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত এলাকায় পরিবেশে ভারসাম্য রক্ষায় অগ্রনী ভুমিকা রেখেছে। ইতিমধ্যে পুকুরটি  ৯০ ভাগ ভরাট করা হয়েছে। তাই ঐ এলাকার ভুক্তভুগী জনগণ সহ নগরীর সচেতন মহলের দাবী দ্রুতই এই অবৈধ পুকুর  খনন বন্ধসহ আইনগত ব্যবস্থা নিবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ । এ বিষয়ে কথা বললে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  মোঃ ইমরানুল হক বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ভিতরে পুকুর ভরাটের বিধিনিষেধ আছে এবং সংরক্ষণের নিয়ম রয়েছে। এছাড়াও নগরীর ২২ টি পুকুর সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহন করেছে রাসিক। পুকুর ভরাট হলে অবশ্যই জলবায়ু দূষনে প্রভাব পড়বে। আমি বিষয়টি দেখছি। পরে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) এর নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মোঃ ফয়সাল রায়হান এর সাথে দেখা করলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আইনে বন্ধের নির্দেশনা আছে। আমি এখনই লোক পাঠাচ্ছি, দেখে ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে কথা বলতে রাসিকের ১৪ নং ওয়ার্ড কমিশনার আনোয়ার হোসেন আনার এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে কোন নিউজ করার দরকার নাই। সন্ধ্যায় আমার চেম্বারে আসেন সাক্ষাতে কথা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ