1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
পল্লী চিকিৎসক থেকে ক্লিনিক পরিচালক: হচ্ছে ভুল চিকিৎসায় রোগির মৃত্যু  - dailynewsbangla
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন

পল্লী চিকিৎসক থেকে ক্লিনিক পরিচালক: হচ্ছে ভুল চিকিৎসায় রোগির মৃত্যু 

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২
রাজশাহী ব্যুরোঃ হাইকোর্টের নির্দেশ যখন অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়গনাষ্টিক বন্ধের, ঠিক তখন রাজশাহীর কাটাখালিতে ভুল চিকিৎসায় অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া পড়েছে এক প্রসূতির পরিবারে। এমন অভিযোগের তীর এখন, রাজশাহীর কাটাখালিতে অবস্থিত সাদিয়া ডায়গনাষ্টিক সেন্টারের দিকে। মিডিয়া কর্মীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে লোমহর্ষক ঘটনা।
গত ৬ জুন ২২ বিকালে চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের মিরকামারি (মধ্যপাড়া) গ্রামের হাসেম আলীর মেয়ে শরিফা বেগম (৩০) প্রসুতি রোগী, কাটাখালির সাদিয়া ডায়গনাষ্টিক সেন্টারে ভর্তি হয়। এরপর রোগীর বাচ্চা খালাস বা সিজারের জন্য অভিভাবকের সাথে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের দশ হাজার টাকায় চুক্তি হয় এবং চুক্তি অনুযায়ী অগ্রীম পাঁচ হাজার টাকা দেন রোগীর বাবা হাসেম আলী। কিন্তু ভুল চিকিৎসার খেসারত হিসেবে নিজের জীবন দিতে হয়েছে প্রসুতি মা শরিফার। অপরদিকে বাঁচানো হয়েছে নবজাতককে। তথ্য নিয়ে জানাগেছে, সেই দিন প্রসুতি মা এর সিজার বা অপারেশন  করেন গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফরিদা ইয়াসমিন মুনমুন। অপারেশনের পর রোগীর রক্তক্ষরন বন্ধ নাহলে বাধ্য হয়ে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন সকালে শরিফা বেগম মারা যায়। আশ্চর্যের বিষয় এই ডাঃ মুনমুন এর আগেও অনেক ক্লিনিকেই রোগীর মৃত্যু ঘটিয়েছেন। সর্বশেষ বেলভিউ ডায়গনাষ্টিক সেন্টারে এমন ঘটনা শিকার হয়েছে এক পরিবার, যা পরবর্তিতে আর্থিক ক্ষতিপুরনের মাধ্যমে সমাধান হয়। এই ডাঃ মুনমুন আরও কতজনের সাথে এমন করেছে তা হয়তো সকলে চক্ষুআড়াল হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্র অভিযোগ তুলেছে ডাঃ মুনমুনের “এফসিপিএস” সার্টিফিকেট বানিজ্য করে নেওয়া। এদিকে কাটাখালি বাসি বলছে,  সাদিয়া ডায়গনাষ্টিক সেন্টারে মালিক জেনেবুঝে এই মৃত্যু ঘটিয়েছেন। কারন তিনি জানতেন ডাঃ মুনমুনের পূর্বেও এমন রেকর্ড রয়েছে। পরে মিডিয়া কর্মীর অনুসন্ধানে সাদিয়া ডায়গনাষ্টিক সেন্টারে মালিক/স্বত্বাধিকারী মিজানের লোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সামান্য পল্লী চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু হয় চিকিৎসা নামক মহাযোগ্য। সেখান থেকে ডায়গনাষ্টিক সেন্টারের মালিক বনে গেলেন কাটাখালী পৌরসভার শামসুল হুদার ছেলে মিজানুর রহমান। তিনি ২০১১ সালে ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট এন্ড হেল্থকেয়ার সোসাইটি (ভি.ডি.এইচ.সি.এস) মাত্র ৬ মাসের একটি কোর্স শেষ করেন। কিন্তু তার আগেই তিনি সাদিয়া ডায়গনাষ্টিকের বীজ বপন করে ফেলেন। এরপর শুরু হয় ভাড়াটে ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া। সেখান থেকে হাতেখড়ি তার চিকিৎসার মহাযোগ্য। প্রতিটি গর্ভবতী মহিলার সিজার বা অপারেশনেই অপারেশন থিয়েটার (ওটি) রুমে উপস্থিত থাকেন। যা কোন ভাবেই মালিক হিসেবে তিনি পারেন না। শুধু তাই নয়, ছোট খাট অপারেশন গুলো মালিক মিজান নিজেই করে থাকন। স্থানীয়রা বলছেন কোন সাংবাদিক গেলে  ঐ প্রতিষ্ঠানের মালিক মিজান স্থানীয় নেতা কর্মী দিয়ে ম্যানেজ করেন।
এবিষয়ে রাজশাহী সিভির সার্জনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই, ঐ ডায়গনাষ্টিকের কাগজপত্র সঠিক রয়েছে কিনা, পরিবেশ ঠিক আছে কিনা খোঁজ নিয়ে জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যে ডাক্তারের কথা বলছেন, তাকে আমি চিনিনা।
বিঃদ্রঃ ডাঃ ফরিদা ইয়াসমিন মুনমুন এর  সার্টিফিকেট জালিয়াতির বিষয়টি অনুসন্ধান চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ