ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

যথাযোগ্য মর্যাদায় টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন।

কাজি মোস্তফা রুমি, স্টাফ রিপোর্টার : হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেমের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কেএম দাস লেন রোডের রোজ গার্ডেন প্যালেসে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সভাপতি ছিলেন টাঙ্গাইলের মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইলের শামসুল হক। পরবর্তীকালে, ১৯৫৫ সালে মওলানা ভাসানীর উদ্যোগে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে পরে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়; নাম রাখা হয়: ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।
আওয়ামী লীগের জন্মসূত্রের সঙ্গে ঢাকা ১৫০ নম্বর মোগলটুলিস্থ পূর্ববঙ্গ কর্মী শিবিরের উদ্যোগের সম্পর্ক অনস্বীকার্য। ২৩ জুনের সম্মেলনের আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন শওকত আলী। তার উদ্যোগে ১৫০ নং মোগলটুলিস্থ শওকত আলীর বাসভবন এবং কর্মী শিবির অফিসকে ঘিরে বেশ কয়েক মাসের প্রস্তুতিমূলক তৎপরতার পর ২৩ জুনের কর্মী সম্মেলনে দলের ঘোষণা দেয়া হয়। শওকত আলীর অনুরোধে কলকাতা থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী একটি মামলা পরিচালনার কাজে ঢাকায় এলে তিনি শওকত আলীকে মুসলিম লীগ ছেড়ে ভিন্ন একটি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। শওকত আলী এ পরামর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পূর্ববঙ্গ কর্মী শিবিরের নেতৃবৃন্দকে নতুন সংগঠন গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করেন। এসময় কর্মী শিবিরের প্রধান নেতা ছিলেন শামসুল হক। কামরুদ্দীন আহমদ, মো. তোয়াহা, অলি আহাদ, তাজউদ্দীন আহমদ, আতাউর রহমান খান, আবদুল আউয়াল, মুহম্মদ আলমাস, শামসুজ্জোহা প্রমুখ প্রথম দিকে এবং পরবর্তীতে শেখ মুজিবুর রহমান কর্মী শিবির কেন্দ্রিক রাজনৈতিক কর্মতৎপরতায় বিশেষভাবে যুক্ত ছিলেন। মুসলিম লীগের আবুল হাশিম-সোহরাওয়ার্দী গ্রুপ নেতৃবৃন্দ মুসলিম লীগের অন্যায় কাজগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার লক্ষ্যেই এখানে কর্মী শিবির গড়ে তুলেছিলেন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৪৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলখানা থেকে ছাড়া পেয়ে ঢাকা এলে তার সঙ্গে শওকত আলীর আলোচনা হয়। শওকত আলী মওলানাকে পূর্ববঙ্গ কর্মী শিবিরকেন্দ্রিক রাজনৈতিক তৎপরতার কথা জানান। এসময় মওলানা ভাসানী আলী আমজাদ খানের বাসায় অবস্থান করছিলেন। শওকত আলীর সঙ্গে তার প্রাথমিক আলোচনা সেখানেই হয়। এই আলোচনার সূত্র ধরে নতুন দল গঠনের জন্য একটি সাংগঠনিক কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন শওকত আলী। সেজন্যে ১৫০ নম্বর মোগলটুলিতে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। মওলানা ভাসানী সেই বৈঠকে যোগদান করেন। এসময় খোন্দকার আবদুল হামিদের সঙ্গে পরামর্শ করে শওকত আলীর উদ্যোগে ও প্রচেষ্টায় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি, ইয়ার মুহম্মদ খানকে সম্পাদক এবং খন্দকার মুশতাক আহমদকে দপ্তর সম্পাদক করে অন্যদেরসহ একটি সাংগঠনিক কমিটি গঠিত হয়।
উপর্যুক্ত সাংগঠনিক কমিটি ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন রোজ গার্ডেনে নতুন দল গঠনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এক সম্মেলন আহ্বান করে। রোজ গার্ডেনে ২৩ জুনের বিকেল ৩টায় সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন শামসুল হক, শওকত আলী, আনোয়ারা খাতুন, ফজলুল কাদের চৌধুরী, আবদুল জব্বার খদ্দর, খন্দকার মোশতাক আহমেদ, আতাউর রহমান খান, মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, আলী আমজাদ খান, শামসুদ্দীন আহমদ (কুষ্টিয়া), ইয়ার মুহম্মদ খান, মওলানা শামসুল হক, মওলানা এয়াকুব শরীফ, আবদুর রশিদ প্রমুখ।
প্রতিষ্ঠাকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি হন টাঙ্গাইলের মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, সহ-সভাপতি হন আতাউর রহমান খান, শাখাওয়াত হোসেন ও আলী আহমদ। টাঙ্গাইলের শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক। শেখ মুজিবুর রহমান, খন্দকার মোশতাক আহমদ ও এ কে রফিকুল হোসেনকে (খায়ের মিয়া) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কোষাধ্যক্ষ হন ইয়ার মোহাম্মদ খান। এসময় শেখ মুজিব কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। অন্যদিকে, পুরো পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সংগঠনটির নাম রাখা হয় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। এর সভাপতি হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
২৪ জুন বিকেলে নবগঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগ মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে ঢাকার আরমানিটোলা ময়দানে প্রকাশ্যে জনসভা করে। সভায় আনুমানিক প্রায় চার হাজার লোক উপস্থিত হয়।
১৯৫২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরের বছর ঢাকার ‘মুকুল’ প্রেক্ষাগৃহে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সম্মেলনে তাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ১৩ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন শেখ মুজিব। উল্লেখ্য যে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ ছিলো তৎকালীন পাকিস্তানে প্রথম বিরোধী দল।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দলটি প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্বশাসনের ওপর বিশেষ গুরুত্বসহ ৪২ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করে। শুরুর দিকে দলটির প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে ছিল রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলার স্বীকৃতি, এক ব্যক্তির এক ভোট, গণতন্ত্র, সংবিধান প্রণয়ন, সংসদীয় পদ্ধতির সরকার, আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন এবং তৎকালীন পাকিস্তানের দু’অঞ্চলের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ।
শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য অন্যান্য দলকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করতে আওয়ামী মুসলিম লীগ মুখ্য ভূমিকা পালন করে। ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর দলটি কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল ও নেজামে ইসলামের সঙ্গে মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে।
১৯৫৪ সালের মার্চের আট থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসন পায়। এরমধ্যে ১৪৩টি পেয়েছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ।
২৪ বছরের পাকিস্তান শাসনামলে আওয়ামী মুসলিম লীগ আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে দু’বছর প্রদেশে ক্ষমতাসীন ছিল এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কেন্দ্রে ১৩ মাস কোয়ালিশন সরকারের অংশীদার ছিল।
১৯৫৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দলের তৃতীয় সম্মেলনে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়; নতুন নাম রাখা হয়: ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।
ঐতিহাসিক ২৩ জুন আজ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, আর এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের সকল নেতা-কর্মী এবং সর্বস্তরের সকলকে অফুরন্ত শুভেচ্ছা জানানো হয় নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ হতে।
নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ এক বার্তায় গণমাধ্যমকে জানান ‘১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে, তাই এই দিন আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।
১৯৬৯ এর গণঅভ্যুথান, ১৯৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৮৭-১৯৯০ এ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ১৯৯৬ এ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন ও ২০০৬ সালের ১/১১ এর পর বাংলাদেশ যখন সর্বদিক দিয়ে ধ্বংস হতে বসেছিল, তখন আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে ও দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায়।
তাই এই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করার লক্ষ্যে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় সকাল ১১ টার সময় নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
 উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আসন অলংকৃত করেন টাঙ্গাইলের নাগরপুর দেলদুয়ারের গণমানুষের নেতা, নাগরপুরের সাড়ে তিন লক্ষ মানুষের প্রাণের দাবি ধলেশ্বরী সেতু বাস্তবায়ন কমিটির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক, সাবেক ছাত্রনেতা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় ক্রীড়া উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক,  নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য জননেতা তারেক শামস খান হিমু।
 উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাগরপুর দেলদুয়ারের গণমানুষের নেতা,  মেধাবী তরুণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী, সদা হাস্যজ্জল,  নাগরপুর আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী, কর্মীদের শেষ আশ্রয়স্থল,  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার নির্বাচিত একমাত্র সফল সভাপতি জননেতা আলহাজ্ব জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম।
 আলোচনা সভা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর নাগরপুরের সদর ইউনিয়ন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তথা নৌকা মার্কার মনোনীত তিন তিনবারের নির্বাচিত একমাত্র সফল চেয়ারম্যান, বর্তমান সময়ে নাগরপুর উপজেলায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক,  রাজপথ থেকে বিকশিত নেতৃত্ব, অনলবর্ষী বক্তা, বিএনপি-জামাত জোট সরকারের ত্রাস, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার বিপ্লবী সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক জননেতা মো: কুদরত আলী।
 অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সংগ্রামী সহ-সভাপতি, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, বীরমুক্তিযোদ্ধা জননেতা রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার।  আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য জননেতা কাজী এটিএম আনিসুল হক বুলবুল।
 উক্ত অনুষ্ঠানে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সহ সকল সহযোগী সংগঠন -ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, আওয়ামী মৎস্যজীবীলীগ সহ সকল ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বিভিন্ন জ্ঞানগর্ভ মূলক আলোচনা করেন এবং সকলেই একই সুরে বলেন আগামী দিনে গণতন্ত্রের মানস কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা টাঙ্গাইল-৬ নাগরপুর দেলদুয়ার থেকে নৌকা মার্কায় যাকে মনোনয়ন দেবে সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে কাজ করে নৌকা মার্কার বিজয় ছিনিয়ে আনব।  আজকের এই অনুষ্ঠানে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মিলিয়ে আগামী দিনে কাজ করার প্রতিজ্ঞা করতে হবে।
 অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নাগরপুর দেলদুয়ারের গণমানুষের নেতা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় ক্রীড়া উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য জননেতা তারেক শামস খান হিমু সকলের সুরে একই কথা বলেন, আগামী দিনে নৌকা মার্কায় তৃণমূল পর্যায় থেকে যাকে সমর্থন করবে এবং যিনি নৌকা মার্কার মনোনয়ন পাবেন  সকলকে সাথে নিয়ে তার পক্ষে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং নৌকা মার্কার বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।
 আলোচনা সভায় সম্মানিত সভাপতি, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেতা আলহাজ্ব জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথিবৃন্দ,সুধীজন,সকল পর্যায়ের আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কে আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে আলোচনা সভা শেষ করেন।
 আলোচনা সভা শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
 দোয়া মাহফিল শেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর ৭৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কেটে সকলকে সাথে নিয়ে নাগরপুর উপজেলার স্মরণকালের ইতিহাসে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেতা জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম ও বিপ্লবী সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক জননেতা মো: কুদরত আলীর নেতৃত্বে আনন্দ র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ আজকের এই অনুষ্ঠানকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।