ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২ , আজকের সময় : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু উদ্বোধন উদযাপনে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা।

কাজী মোস্তফা রুমি, স্টাফ রিপোর্টার:  ১৯৯৮সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানী ও দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কে পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ৩,৬৪৩.৫০ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছিল। ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৮.১০ মিটার চওড়া এই সেতুটিকে দেশের সম্ভাব্য দীর্ঘতম সেতু হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে নির্মাণ কাজ শুরু করার এবং ২০০৪ সালের জুনে শেষ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রস্তাবিত পরিমাণ ২৬৯৩.৫০ কোটি টাকা বিদেশী উৎস থেকে এবং ৭৫০ কোটি টাকা জাতীয় উৎস থেকে জোগান দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
২০০৬-২০০৭ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে, তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
২০০৮-০৯ সালে প্রকল্প প্রস্তুতির সাথে যুক্ত কিছু লোকের দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় বিশ্বব্যাংক তার প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে নেয় এবং অন্যান্য দাতারা সেটি অনুসরণ করে। এই ঘটনায় তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ও সচিব মোশারেফ হোসেন ভূইয়াকে জেলে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে এমন কোনও অভিযোগ প্রমাণ না পাওয়ায় কানাডীয় আদালত মামলাটি বাতিল করে দেয়। দুর্নীতির অভিযোগ পরবর্তীতে আদালতে খন্ডিত হয়। পরে প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব সম্পদ থেকে অর্থায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এইসিওএম-এর নকশায় পদ্মা নদীর উপর বহুমুখী আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প ‘পদ্মা বহুমুখী সেতুর’ নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০১১ সালে এবং শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালে। মূল প্রকল্পের পরিকল্পনা করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ২৮ আগস্টে। সে সময় ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার পদ্মা সেতু প্রকল্প পাস করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। পদ্মা সেতুর ব্যয় আরও আট হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়। ফলে তখন পদ্মা সেতুর ব্যয় দাঁড়ায় সব মিলিয়ে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বাসেক) ২০১০ সালের এপ্রিলে প্রকল্পের জন্য প্রাক যোগ্যতা দরপত্র আহবান করে। প্রথম পরিকল্পনা অনুসারে, ২০১১ সালের শুরুর দিকে সেতুর নির্মাণ কাজ আরম্ভ হওয়ার কথা ছিল এবং ২০১৩ সালের মধ্যে প্রধান কাজগুলো শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরিকল্পনা অনুসারে প্রকল্পটি তিনটি জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করবে- মুন্সীগঞ্জ (মাওয়া পয়েন্ট/উত্তর পাড়), শরীয়তপুর এবং মাদারীপুর (জঞ্জিরা/দক্ষিণ পাড়)। এটির জন্য প্রয়োজনীয় এবং অধিগ্রহণকৃত মোট জমির পরিমাণ ৯১৮ হেক্টর।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর সম্পূর্ণ নকশা এইসিওএমের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরামর্শকদের নিয়ে গঠিত একটি দল তৈরি হয়। বাংলাদেশের প্রথম বৃহৎ সেতু প্রকল্প যমুনা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেল তৈরি করা হয়। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে ১১ সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সভাপতি নিযুক্ত করা হয়। এ প্যানেল সেতুর নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন পর্যায়ে প্রকল্প কর্মকর্তা, নকশা পরামর্শক ও উন্নয়ন সহযোগীদের বিশেষজ্ঞ পরামর্শ প্রদান করে।
পদ্মা সেতুর ভৌত কাজকে মূলত পাঁচটি প্যাকেজে ভাগ করা হয় যথা— (ক) মূল সেতু, (খ) নদী শাসন, (গ) জাজিরা সংযোগকারী সড়ক, (ঘ) টোল প্লাজা ইত্যাদি। মাওয়া সংযোগকারী সড়ক, টোল প্লাজা ইত্যাদি এবং মাওয়া ও জাজিরা সার্ভিস এলাকা। প্রকল্পে নিয়োজিত নকশা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘মনসেল-এইকম’ ভৌত কাজের ঠিকাদার নিয়োগের প্রাক-যোগ্যতা দরের নথি প্রস্তুত, টেন্ডার আহ্বানের পর টেন্ডার নথি মূল্যায়ন, টেন্ডার কমিটিকে সহায়তাসহ এ-সংক্রান্ত যাবতীয় কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেল নকশা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাজ তদারক করত। ভৌত কাজের বিভিন্ন প্যাকেজের জন্য দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি।
প্রথম দিকে সেতু নির্মাণকারী প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞদের পদ্মা নদীর তলদেশের মাটি খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়। তলদেশে স্বাভাবিক মাটি পাওয়া যায়নি। সেতুর পাইলিং কাজ শুরুর পরে সমস্যা দেখা যায়। প্রকৌশলীরা নদীর তলদেশে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় মাটির বদলে নতুন মাটি তৈরি করে পিলার গাঁথার চেষ্টা করে। স্ক্রিন গ্রাউটিং নামের এই পদ্ধতিতেই বসানো হয় পদ্মাসেতু। এ প্রক্রিয়ায় ওপর থেকে পাইপের ছিদ্র দিয়ে রাসায়নিক নদীর তলদেশে পাঠিয়ে মাটির শক্তিমত্তা বাড়ানো হয়। তারপর ওই মাটিতে পিলার গেঁথে দেওয়া হয়। এ পদ্ধতিতে পাইলের সঙ্গে স্টিলের ছোট ছোট পাইপ ওয়েল্ডিং করে দেওয়া হয়। পাইপের ভেতর দিয়ে এক ধরনের কেমিক্যাল পাঠিয়ে দেওয়া হয় নদীর তলদেশের মাটিতে। কেমিক্যালের প্রভাবে তখন তলদেশের সেই মাটি শক্ত রূপ ধারণ করে। একপর্যায়ে সেই মাটি পাইলের লোড বহনে সক্ষম হয়ে ওঠে। তখন আর পাইল বসাতে কোনো বাধা থাকে না।
পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট খরচ করা হয় ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি। বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
২০০৫ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রাথমিক প্রাক্কলন ধরা হয়েছিল ১২,০০০ কোটি টাকা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় পৃথিবীর অন্যান্য তুলনীয় সেতুর নির্মাণ ব্যয়ের নিরিখে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সর্বমোট নির্মাণ ব্যয় ১০,০০০ কোটি টাকায় সীমিত রাখার পরামর্শ প্রদান করেন।
২০০৭ সালের আগস্ট মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একনেক-এর সভায় পদ্মা সেতুর চূড়ান্ত প্রাক্কলন ১০,১৬১ কোটি অনুমোদন করা হয়।
পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে প্রাক্কলন বৃদ্ধি করা হয়। সর্বশেষ অনুমোদিত প্রাক্কলনের পরিমাণ ৩০,১৯৩ কোটি টাকা যা মূল প্রাক্কলনের চেয়ে ২০,০৩২ কোটি টাকা বেশী। বলা হয়েছে বাস্তবায়ন বিলম্বিত হওয়াই প্রকল্প ব্যয় এতো বৃদ্ধি পাওয়ার মূল কারণ।
মার্কিন ডলারের হিসাবে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সড়ক-রেল সেতুর নির্মাণ ব্যয় এগারো বছরে ১.৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩.৫৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। চীনের ৬.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ উফেনসাং ইয়াংজী সড়ক-রেল সেতু ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চালু করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে তুলনীয় এই সেতুর নির্মাণে ৪ বছর লেগেছে এবং ব্যয় হয়েছে ১.০৫ বিলিয়ন ডলার যা পদ্মা সেতুর এক-তৃতীয়াংশের চেয়েও কম।
সকল চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে, দেশী-বিদেশি তথা আন্তর্জাতিক সকল বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করে আজ ২৫ জুন ২০২২ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা, স্বাধীন বাংলার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য তনয়া গণতন্ত্রের মানসকন্যা, মাদার অফ হিউম্যানিটি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতে স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের শ্রেষ্ঠ স্থাপনা, নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলো।
 পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নির্দেশে সমগ্র দেশে সারাদিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নির্দেশ মোতাবেক নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সারাদিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। যার ধারাবাহিকতায় সকাল ছয়টায় সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এরপর সকাল দশটায় নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ এর উদ্যোগ এ প্রজেক্টরের মাধ্যমে সরাসরি পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান  সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
এরপর সরাসরি সম্প্রচার অনুষ্ঠান শেষে  স্মরণকালের নাগরপুরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বড় আনন্দ র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।  আনন্দ র‍্যালি  শেষ হওয়ার পরে সরকারি যদুনাথ কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ টাঙ্গাইলের লৌহমানব, নাগরপুর-দেলদুয়ারের গণমানুষের নেতা, তরুন প্রজন্মের অহংকার, মেধাবী ব্যক্তিত্ব, সদাহাস্যোজ্জ্বল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার বিপ্লবী সংগ্রামী নির্বাচিত সফল সভাপতি জননেতা আলহাজ জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন মহান মুক্তিযুদ্ধের পর নাগরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তথা নৌকা মার্কার মনোনীত তিন তিনবারের নির্বাচিত একমাত্র সফল চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার সাবেক আহবায়ক, রাজপথ থেকে বিকশিত নেতৃত্ব,  অনলবর্ষী বক্তা, বিএনপি-জামাত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বারবার নির্যাতিত-নিপীড়িত গণমানুষের নেতা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার বিপ্লবী সংগ্রামী সফল সাধারণ সম্পাদক জননেতা মো: কুদরত আলী।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সহ-সভাপতি, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি জননেতা রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার, উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য কাজী আনিসুর রহমান বুলবুল।
এছাড়া নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সহ প্রত্যেকটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি/ সম্পাদক সহ সকল সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ, আওয়ামী মৎস্যজীবীলীগ ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 আলোচনা সভায় বিভিন্ন বক্তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সফলতা ও সাহসিকতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জ্ঞানগর্ভ মূলক আলোচনা করেন।
আলোচনা সভার সমাপনী বক্তব্যে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সংগ্রামী সভাপতি ও অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি জননেতা আলহাজ জাকিরুল ইসলাম বলেন,  পদ্মা সেতু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শিতা এবং সাহসিকতার পরিচয়। শুধুমাত্র তাঁর নেতৃত্বেই এরকম অসাধ্যকে সাধন করা সম্ভব।  তাই আমরা আগামী দিনে সকল প্রকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে   ঐক‍‍্যবদ্ধ থেকে অংশগ্রহণ করব এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করব,  ইনশাল্লাহ।
 আলোচনা সভা শেষে উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দের সাথে এক প্রীতি ভোজ অনুষ্ঠিত হয়।
সবশেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেতা জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক মো: কুদরত আলী উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।