মাসুদ রানা,বাউফলঃ তাপস কর্মকার বলেন, অনেকেই আবার কুরবানির জন্য এসব ধারালো অস্ত্রের পাশাপাশি বাড়ি ও কৃষি কাজে ব্যবহৃত কুড়াল, কাস্তে, কাঁচি, সাবল, টিঙ্গি কিনে নিয়ে যায়। তাই কাজের চাপ থাকার কারণে শ্রমিক সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আমাদের এই ব্যস্ততা ঈদের আগের দিন পর্যন্ত থাকবে।
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পটুয়াখালী বাউফলের কামারপাড়ায় কর্ম ব্যস্ততা বেড়েছে। কয়লা পোড়া গন্ধ, হাপরের হাঁসফাঁস আর হাতুড়ি পেটানোর টুংটাং শব্দে তৈরি হচ্ছে ধারালো দা,বটি, ছুরি ও চাপাতি।
আর ফাঁকে ফাঁকে চলছে পুরনো দা, বটি, ছুরি ও চাপাতিতে শান দেয়ার কাজ। তাই দম ফেলার ফুরসত নেই কামারদের। কাজের চাপ বেশি থাকায় শ্রমিকের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে কামারশালায়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে তাদের কর্ম ব্যস্ততা।
উপজেলার কাছিপাড়া চৌমুহনী বাজার,কালিশুরী, বাহেরচর, কনকদিয়া, বগা, কালাইয়া, নুরাইনপুর ও বাউফল বাজার সহ ছোটবড় সব দোকানে কামাররা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কয়লার আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে তারপর হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন দা, ছুরি, চাকু, চাপাতি, কুড়াল, বটিসহ ধারালো বিভিন্ন সামগ্রী।
বিভিন্ন এলাকার কামারশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্য সময়ের তুলনায় কুরবানির ঈদে বেচা-বিক্রি বেশি থাকে। ঈদে প্রতিদিন গড়ে দশ থেকে বারো হাজার টাকার বেচা-বিক্রি হয়ে থাকে।
এ কারণে অনেকেই ঈদকে ঘিরে বিভিন্ন হাট বাজারে দা, চাপাতি ও ছুরি বিক্রি করছেন। উপজেলায় প্রায় ১৫টিরও বেশি কামারশালা আছে।
গৌতম কর্মকার বলেন, ‘সারা বছর আমাদের তৈরি জিনিসের চাহিদা থাকে। কিন্তু ঈদের আগেই অনেকেই পশু কুরবানির জন্য নতুন ছুরি, চাপাতি, চাকু কিনতে আসেন। পাশাপাশি পুরনো ছুরি, চাপাতি, চাকু শান দেয়ার জন্য নিয়ে আসেন। আর কুরবানির সময় চাহিদা থাকায় আগে থেকেই বেশ কিছু লোহার তৈরি সামগ্রী বানিয়ে রাখা হয়।