ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

বাউফলে ০২ জুয়েলার্স ব‍্যবসায়ী সহ ৪  ডাকাত গ্রেফতার.

 মাসুদ রানা (বাউফল):  পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে বরিশালের কাউনিয়া এলাকার মরকখোলা থেকে রিয়াজ হাওলাদার (৩৫) ও অরুণ দাসকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। পরে বিকেলে তাদের দেওয়া তথ্যমতে বাউফলের কেশবপুর গ্রাম থেকে ইসমাইল গাজী (৫৫) ও নুরাইনপুর গ্রাম থেকে হেমায়েদ সিকদারকে (৪৭) গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়াও ডাকাতির সোনা ক্রয়ের জন্য বাউফলের রাজনগর এলাকার জুয়েলার্সের মালিক গৌতম কর্মকার (৪৪) ও মনোজ কর্মকার (৩৮) কে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল হাসান। গ্রেফতারকৃত সকলের বাড়ি বাউফল উপজেলায় বলে জানা গেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল হাসান জানান, গত ১ জুলাই দিবাগত রাতে বাউফলের নুরাইনপুর এলাকার রুহুল আমিন সিকদারের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়। এ সময় ৮ থেকে ১০ জনের মুখোশধারী ডাকাত জানালার গ্রিল কেটে তার ঘরে প্রবেশ করে। পরে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ আড়াই লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মোট ১৩ লাখ ১৩ হাজার টাকার মালামাল লুটে নেয়।
এ ঘটনায় গত রোববার (৩ জুলাই) রুহুল আমিন বাদী হয়ে বাউফল থানায় অজ্ঞাত ১০ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পরই বাউফল থানা পুলিশের তৎপরতায়  চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও ডাকাত ইসমাইলের বাড়ি থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রুহুল আমিনের বাড়িতে ডাকাতির বিষয়টি স্বীকার করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  মাইনুল হাসান আরও প্রতিবেদককে জানান, “গ্রেফতার চার জন পেশাদার ডাকাত। ইসমাইল ডাকাতি মামলায় ৭ বছর জেল খেটেছে। রিয়াজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় ৬টি ডাকাতি মামলা রয়েছে, হেমায়েতের বিরুদ্ধে ৪টি ডাকাতি মামলা এবং অরুন দাসের বিরুদ্ধে ঝালকাঠিতে একটি মামলা রয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”