ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০২২ , আজকের সময় : সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

গাড়ি ভাংচুর ও রাস্তা অবরোধ করলেও সীমানার দোহায় দিয়ে নিরব রাজশাহীর কাটাখালি থানা পুলিশ

 রাজশাহী ব্যুরোঃ রাস্তা অবরোধ করে গাড়ি ভাংচুর ও চালককে পিটিয়ে জখম করলেও এগিয়ে আসেনি টহল পুলিশ। এগিয়ে যেতে বললে পুলিশ বলে, আমাদের এরিয়া না, আমরা যেতে পারবো না।

১১ জুলাই রাতে রাজশাহীর মতিহার থানা সীমানা (রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের শেষ) এলাকায় রিক্সার সাথে একটি যুবকের ধাক্কার ঘটনা ঘটে। তারপর শুরু হয় গাড়ি ভাঙচুর, চালককে পিটিয়ে জখম করাসহ রাস্তা অবরোধ।এমন দৃশ্য ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘটনাটি ভাইরাল হয়েছে। এতে পুলিশের প্রতি বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে।

এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, গত ১১ জুলাই বিকালে মুন সিটি মাঠে মাসকাটা দীঘি এলাকার যুবকদের দুই গ্রুপের মাঝে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার খেলা হয়। খেলা শেষে হই-হুল্লোড় ও মিছিল করতে করতে রাস্তা ব্লক করে ফিরে আসছিল। এরপর সন্ধ্যা আনুমানিক ৭.৪৫ মিনিটে ধান গবেষণাগারের সামনে, পেছন থেকে একটি রিক্সা মিছিলরত শাওন (২০) নামের একটি ছেলেকে ধাক্কা দেয়। এতে শাওন সামান্য আহত হয়। এরপর শুরু হয় ভাংচুর তান্ডব। একের পর এক গাড়ি ভাংচুর করতে থাকে তারা। বাদ যায়নি মেয়রের গাড়ি পরিচয় দেয়া প্রাইভেট কারও। ভেঙ্গে দেওয়া হয় গাড়ির গ্লাস। ঘটনাটি কিছুটা সিনেমার শুটিং এর মত। রাস্তা অবরোধ হয় প্রায় আধাঘন্টা। প্রায় বিশ গজ দুরে থাকা (সিরা ডিউটি) এসএই মিজানকে এগিয়ে আসতে বললে, তিনি একজন সাংবাদিককে উত্তর দেন এটা আমার এরিয়া না, তাই আমি যেতে পারবো না। ঐটা মতিহার থানার এরিয়া। ততক্ষণে ঐ রিক্সার চালককে পিটিয়ে জখম করে ফেলেছে অবরোধকারিরা। রিক্সা ওয়ালাকে বাঁচাতে গেলে তোপের মুখে পড়ে সাংবাদিক। এঘটনায় তিনটি মটর সাইকেল, একটি প্রায়ভেট কার, কয়েকটি অটোরিকশা ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু পথচারি আহত হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, আহত শাওন মাসকাটা দীঘি (পশ্চিমপাড়া) আতাউল এর ছেলে।

এবিষয়ে আরএমপি’র মতিহার থানায় যোগাযোগ করলে থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন তুহিন বলেন, আমার নিকট কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি, তাই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। পরে কাটাখালি থানার সিরা ডিউটিতে থাকা এসআই মিজানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ভাই আমার এরিয়া না হওয়ার আমি যায়নি। আপনি হুইসেল (বাঁশি) দিলেই তো অবরোধকারিরা ছত্রভঙ্গ হতো এমন প্রশ্ন করলে তিনি আবারও সেই সীমানার দোহায় দেন। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘটনার ভিক্টিম সম্পর্কে খোঁজ নিলে, তার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ঐ এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানাযায়,গাড়ি ভাংচুরের পর আহত শাওন ও অবরোধকারিরা নিজ এলাকায় রাত ৩ টা পর্যন্ত পিকনিক ও ডিজে পার্টি করেছে ।

এখন প্রত্যাক্ষদর্শী ও জনমনে প্রশ্ন, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে বখাটে ছেলেরা যদি এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনার সৃষ্টি করে, তাহলে পুলিশের ভুমিকা কোথায়? আর সাধারণ মানুষকেই সুরক্ষা দিবে কে? এতবড় ঘটনার পরও অপরাধিরা কি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকবে?