1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও ব্যারিস্টার জুম্মন সিদ্দিকীর আইনজীবী সনদ: রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি আজ। - dailynewsbangla
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
মোহনপুর বিদিরপুরে উৎসবমূখর পরিবেশে শেষ হলো ওয়ার্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে – শাহাজান আলী জাল সনদে চাকরি নেওয়া ২০ শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন আর কোন সরকার যেন ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে: রাজশাহীতে জোনায়েদ সাকি দৌলতপুরে লাঠির আঘাতে আপেল লস্কর নামে ব্যাবসায়ীর মৃত্যু দৌলতপুরে এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ এর প্রথম মিলন মেলা অনুষ্ঠিত নওগাঁয় শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু বোয়ালমারীতে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়ার আয়োজন

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও ব্যারিস্টার জুম্মন সিদ্দিকীর আইনজীবী সনদ: রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি আজ।

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০২২
কাজী মোস্তফা রুমি, স্টাফ রিপোর্টার: আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও ব্যারিস্টার জুম্মন সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করাকে বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিতের বিষয়ে করা আপিল আবেদনের ওপর রোববার (৭ আগস্ট) শুনানির দিন ঠিক করেছেন আপিল বিভাগ।
শনিবার (৬ আগস্ট) শুনানির জন্য এ দিন ঠিক করেন প্রধানবিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে। এর আগে রোববার (৩১ জুলাই) এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্যারিস্টার জুম্মন সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করাকে বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর স্থগিত করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত আপিল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত থাকবে বলেও আদেশে বলেছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন। একই সঙ্গে রিটকারী দুই আইনজীবীকে পৃথকভাবে ১০০ টাকা করে জরিমানাও স্থগিত করা হয়েছে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ওইদিন আপিল বিভাগে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার রুহুল কুদুস কাজল, ব্যারিস্টার অনিক আর হক। অন্যদিকে জুম্মান সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।
আদেশের পর আইনজীবীরা জানান, বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ার পরও এক বিচারকের ছেলে মো. জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিসের সুযোগ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দুই আইনজীবীর জরিমানাও স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগে।
এক বিচারপতির ছেলে মো. জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিসের সুযোগ দিয়ে বার কাউন্সিলের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটটি গত ৮ নভেম্বর খারিজ করে রায় দেন বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রায়ে রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ইশরাত হাসানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। এবং তাদের প্রত্যেককে ১০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়। হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর আপিল করেন রিটকারী দুই আইনজীবী।
২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে জারি করা গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে গেজেট প্রকাশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।
২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় বারবার উত্তীর্ণ না হওয়ার পরও হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ইশরাত হাসান বাদী হয়ে এ রিট দায়ের করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় কয়েকবার অংশ নিয়েও কৃতকার্য হতে পারেননি হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলে মো. জুম্মান সিদ্দিকী। অথচ ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। রিটে ওই গেজেট এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অর্ডারের ২১ (১) (খ) ও ৩০ (৩) ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়। জুম্মান সিদ্দিকীসহ বার কাউন্সিলের সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারিসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এরপর ওই বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক তারিক উল হাকিম আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে রিট আবেদনটির ওপর জারি করা রুল শুনানির জন্য বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে ওঠে। দীর্ঘ শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর রিটটি খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন। এর পরের দিন ২০২০ সালের ০৯ নভেম্বর জুম্মানের আইনজীবী সনদ চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ