কাজী মোস্তফা রুমি, স্টাফ রিপোর্টার: ” নাগরপুর আমার,আমি নাগরপুরের”- এই বাণীটিকে বুকে ধারণ করে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর-দেলদুয়ারে আওয়ামী রাজনীতির অঙ্গনে জনপ্রিয়তার সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপকমিটির বিপ্লবী সংগ্রামী সদস্য, নাগরপুর দেলদুয়ারের গণমানুষের নেতা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার সিপাহসালার অন্যতম বিশ্বস্ত সৈনিক, উদীয়মান মেধাবী ব্যক্তিত্ব, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ এর নেতাকর্মীদের শেষ আশ্রয়স্থল, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য জননেতা তারেক শামস খান হিমু।
তিনি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার ঐতিহ্যবাহী তেবাড়িয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৬৯ সালে ৮ই আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা অ্যাডভোকেট হুমায়ূন হোসেন খান ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন স্বনামধন্য আইনজীবী। তিনি আওয়ামীলীগ বিরোধী দলে থাকার সময় বহু আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ শ্রমিকলীগ নেতৃবৃন্দদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে আইনি সহায়তা প্রদান করেন।
তারেক শামস খান হিমু ১৯৮৭ সালে ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারী সরকার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে কাঁপিয়েছেন এই রাজনৈতিক নেতা। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত তিনি মস্কো ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৯৬ সালে লন্ডন থেকে উচ্চশিক্ষা শেষ করে বাংলাদেশে এসে ঢাকায় রমনা থানা যুবলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে জনতার মঞ্চ আন্দোলনে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলে তিনি রমনা থানা যুবলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। সে সময় তিনি বিএনপি জামাত সন্ত্রাসীদের নির্মূলে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
২০০১ সালে নাগরপুরের সাড়ে তিন লক্ষ মানুষের প্রাণের দাবি ধলেশ্বরী সেতু নিয়ে তৎকালীন বিএনপি’র সরকার নাগরপুরের মানুষের সাথে যে প্রহসনের নাটক শুরু করেছিল তার প্রতিবাদে কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলেন। আন্দোলন হিসেবে মুক্তাঙ্গনে ও ধলেশ্বরী নদীর বুকে নৌকার মিছিল সহ বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও এবং নাগরপুর উপজেলা অফিস ঘেরাও সহ সকল কর্মসূচিতে একক নেতৃত্বে সংঘটিত করেছিলেন। তিনি ধলেশ্বরী সেতু বাস্তবায়ন কমিটি নামক একটি সংগ্রামী সংগঠন গড়ে তোলেন, এতে তিনি আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন যার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের রোশানলে পড়েন এর ফলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়। এতে করে তিনি বেশ কিছুদিন তার জন্মভূমি নাগরপুরের মাটিতে পা রাখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন।
এরপর ২০০২ সালে গণতন্ত্রের মানসকন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সাবেক ছাত্রলীগের নেতাদের নিয়ে বায়ান্ন সদস্য বিশিষ্ট একটি উপকমিটি গঠন করলে সেখানে তিনি সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ধারাবাহিকভাবে তিনি ২০০২ থেকে ২০০৭,২০১৪ ও ২০১৮ সালে সহ-সম্পাদক হিসেবে কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়া তিনি ঢাকার বাংলাবাজারে পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক মালিকদের মধ্যে এক সেতু বন্ধন তৈরি করেন। সেখানে ঢাকাস্থ নাগরপুর উপজেলার কর্মরত বিশ হাজার পুস্তক বাঁধাই শ্রমিকদেরকে নিয়ে তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সকল প্রকার আন্দোলন সংগ্রামে এককভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন। তিনি পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক ও মালিক সমিতির আহবায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন পাটকল বিশেষ করে ইউএমসি জুট মিল, আহমেদ বাওয়ানি জুট মিল, জনতা জুট মিল এ নাগরপুরের প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কঠিন আন্দোলন এবং তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে একক নেতৃত্ব প্রদান করেন।
এছাড়াও ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সংস্কারের দাবিতে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় পথসভা থেকে শুরু করে ৩০-৪০ টি উঠান বৈঠক সম্পন্ন করেন যা বাংলাদেশের সকল অঞ্চলে নেতৃবৃন্দদের মধ্যে সারা ফেলে। এভাবেই তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়েছেন। এছাড়াও তথাকথিত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি বেশ কয়েকটি মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা ও বিভিন্ন ভাবে হামলার শিকার হয়েছেন।একপর্যায়ে তার সেগুনবাগিচার বাণিজ্যিক কার্যালয় তছনছ করে দেওয়া হয় এবং ক্যান্টনমেন্টের সেনা ক্যাম্পে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকি তাকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়।
বর্তমানে তিনি নাগরপুর দেলদুয়ারের প্রত্যেকটি অঞ্চলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের তথ্যচিত্র সকল জনগণের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিচ্ছেন এবং প্রতিটি জাতীয় ও দলীয় অনুষ্ঠানে একক নেতৃত্বে অংশগ্রহণ করছেন।
আজ ৮ ই আগস্ট ২০২২ জননেতা তারেক শামস খান হিমুর ৫৪তম জন্মবার্ষিকী।
জননেতা তারেক শামস খান হিমুর এই জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমের সাথে তার কথা হয়।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, আগস্ট মাস বাঙালি ও বাঙালি জাতিসত্তার একটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের মাস। এই আগস্টের ১৫ তারিখ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত করা হয়। আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি আমার জন্মদিনের কোন উৎসব পালন করি না।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, ৮ই আগস্ট হচ্ছে বাংলাদেশের এক মহীয়সী নারী আমাদের সকলের শ্রদ্ধার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ও জন্মবার্ষিকী। আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে তাঁকে স্মরণ করছি এবং মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
সবশেষে আমি আপনাদের সকলের কাছে দোয়া চাই যাতে বিগত সময় যেভাবে টাঙ্গাইলের নাগরপুর দেলদুয়ারের মানুষের পাশে ছিলাম বর্তমানে যেভাবে রয়েছি, ভবিষ্যতেও যেন ঠিক সেই ভাবে থাকতে পারি।
টাঙ্গাইলের নাগরপুর দেলদুয়ারের মানুষের সেবা করেই যেন আমি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারি এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হতে যেন একটুকুও বিচুত্য না হই।
সকলকে ধন্যবাদ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
Print [1]