ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০২২ , আজকের সময় : রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

রাজশাহীস্থ ইন্ডিয়ান ভিসা সেন্টারের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ইনচার্জ সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন

রাজশাহী ব্যুরোঃ দীর্ঘদিন থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে রাজশাহীস্থ ইন্ডিয়ান ভিসা এ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ইনচার্জ সুমন দাস সহ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ইন্ডিয়ান ভিসা এ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভেক) ঢাকা অফিস।
গত ৮ আগষ্ট সন্ধ্যা  পৌনে ৭.০০ টায় ই-মেইলের  মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা পূর্বক নোটিশ দিয়েছে ভিসা কর্তৃপক্ষ। এই নোটিশের মাধ্যমে ইন্ডিয়ান ভিসা এ্যাপ্লিকেশন সেন্টার রাজশাহী অফিসের ইনচার্জ সুমন দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ভিসা এক্সিকিউটিভ অফিসার প্রনয় চক্রবর্তী ও সিরাজুন কুস্তরী মুন ঢাকায় বদলি এবং ঠাকুরগাঁ’র ভিসা অফিসার অশ্বিনী কুমার বর্মনকে যশোর অফিসে বদলি করা হয়েছে। তবে গত ২৪ জুলাই নিউজ প্রকাশের একদিন পর  একজন ভিসা এক্সিকিউটিভ অফিসারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ইন্ডিয়ান ভিসা এ্যাপ্লিকেশন ঢাকা অফিস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইন্ডিয়ান ভিসা এ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভেক), বাংলাদেশ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীয় কর্মকর্তা (ডিকো) গৌরব চক্রবর্তী। বিষয়টি নিয়ে গৌবর চক্রবর্তীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সংবাদ প্রকাশের পর আমি নিজে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করেছি, তদন্তে বেশ কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য এবং প্রমান পাওয়া গেছে।  প্রকাশিত সংবাদের সূত্রে পাওয়া অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আপাতত ইনচার্জসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে, পরবর্তীতে তদন্ত শেষে কঠিন সিদ্ধান্তে নেওয়া হবে। তবে ভুল তথ্যে যেন কারো ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে আইভেক ঢাকা অফিসের  এমন সিদ্ধান্তে অনেকটায় খুশি রাজশাহী, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের এর সাধারণ জনগণ। সিদ্ধান্তটি জানাজানি হলে অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেছে আইভেক সেন্টারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলছে, রাজশাহী  আইভেক’র অফিস ষ্টাফরা আমাদের সাথে অনেক দুর্ব্যবহার ও খারাপ আচরন করেছে। আমরা কিছু বলতে পারিনি, কারন যদি আমাদের ভিসা আবেদন বাতিল করে দেয়। তবে আমরা বুঝতে পেরেছি এখানে এখনও ভাল মানুষ আছে। আমাদের দাবী এখানে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে আরও কয়েকটি আবেদন জমার কাউন্টার বা বুথ বাড়াতে হবে। এখানে প্রতিদিন আটশত থেকে এক হাজার লোক লাইনে দাঁড়ায় এবং লাইন দীর্ঘ হওয়ার কারনে একেক জনকে ৬-৭ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়ানোর কারনে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে।  তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাথে সমন্বয় করে ফুটপাতের ধার দিয়ে বসার জন্য বেঞ্চ ও ছাউনি এবং ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করতে হবে। আরও একটি বড় ভোগান্তি হচ্ছে মুমুর্ষ রুগীদের নিয়ে। মুমূর্ষু রোগাদের ভিসা আবেদন জমা, পাসপোর্ট উত্তলোন ও ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়ার লক্ষ্য সার্বিক মানবিক দিকে বিবেচনা করে বিকল্প পদ্ধতি চালু করার আবেদন জানান। কারন একজন ক্যান্সার, কিডনী বা কঠিন রোগাক্রান্ত রোগী কারো পক্ষে এই ভিসা অফিসে স্বশরীরে এসে ফিঙ্গার দিতে হয়, যা চরম কষ্টের ও সীমাহীন ভোগান্তির। এমন আশা-আকাঙ্ক্ষার মানবিক বিষয়গুলো ইন্ডিয়ান ভিসা এ্যাপ্লিকেশন ঢাকা অফিস, ভারতীয় হাই কমিশন  ঢাকা ও বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ভারত খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করবে এমন প্রত্যাশা এখন সাধারণ জনগণের।