ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

সালথায় চাকুরীর প্রলোভনে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নারীকে ধর্ষনের অভিযোগ

 ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের সালথায় চাকুরীর প্রলোভনে  এক নারী কে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে  এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।  সোমবার (১৫  আগস্ট) সকাল ১১ টার দিকে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাগদী গ্রামে ওই ব্যবসায়ীর বান্ধবীর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ধর্ষিত  ওই নারী অর্নাস মাস্টার্স শেষ করে প্রাইমারী স্কুলের চাকুরী প্রার্থী। পরিবার সুত্রে জানা যায়, সে প্রাইমারীর চাকুরীর পরীক্ষায় রির্টেনে পাস করে ভাইভার রেজাল্টের অপেক্ষায় রয়েছে। ধর্ষক ব্যবসায়ী, ভুক্তভোগী ওই নারীর প্রতিবেশী তিন সন্তানের জনক, স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা। ধর্ষক কাগদী গ্রামের, হারুন মাতুব্বরের ছেলে লিটন মাতুব্বর (৪৬)। সে  কাগদী বাজারে রড,সিমেন্ট ও টিনের ব্যবসা করে।
ধর্ষিত ওই নারীর ভাই সৈয়দ আরাফাত বলেন, লিটন গ্রামের ক্ষমতাধর ব্যক্তি হওয়ায় অনেক অবৈধ কাজ তার দ্বারা হয়। ভয়ে কেউ মুখ খোলে না। আমার বোন কে গত এক বছর ধরে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। আমাদের কাছে অনেকবার নালিশও করেছে আমার বোন।  আমরা লিটনকে সুধরাতে বললেও সে সুধরায়নি।সে আমার বোনের পিছন ছাড়েনি। শেষ পর্যন্ত প্রাইমারীর চাকুরীরর ভাইভার পাশ করানোর প্রলোভনে তাকে পাশ্ববর্তী তার বান্ধবী রেবেকার বাড়ি নিয়ে ধর্ষন করে। পরে স্থানীয় লোকজন টের পেলে সে পালিয়ে যায় বলে আমার বোন আমাদের কে জানায়। আরাফাত আরো জানান, মানসম্মনের ভয়ে আমরা বিষয়টি চাপা রেখেছিলাম।  এখন আমার বোনের জীবনটা শেষ হয়ে গেছে। আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই। মামলা করবেন কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা  ফরিদপুর হাসপাতালে তার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নিয়েছি। আমরা আদালতে মামলা করবো। লিটনের বান্ধবী রেবেকা বেগম বলেন, আমি বাড়ি ছিলাম না। আমার দুই মেয়ে বাড়িতে ছিলো লিটন ওই মেয়েকে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে ঘরের ভিতর ডুকে একটা রুমে গিয়ে দরজা আটকিয়ে দেয়। প্রায় ১ ঘন্টা রুমের মধ্যে তারা অবস্থান করে। পরে আমার মেয়েরা আমাকে খবর দেয়। আমি বাড়িতে আসলে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে লিটন পালিয়ে যায়।
অভিযুক্ত লিটন মাতুব্বর এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার মুখোমুখি হওয়া যায়নি। তার দোকান ও বাড়িতে তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
লিটনের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা খাদিজা বেগম বলেন,  আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। কনথিত বান্ধবী রেবেকা বেগম এর কাছে টাকা পায় আমার স্বামীর সে টাকা না দেওয়ার তালবাহানা করছে রেবেকা। আমার স্বামী যদি রেবেকার বাড়ি যাবে ওই মেয়ে কে নিয়ে। তাহলে আটকিয়ে রেখে আমাদের বললো না কেন। আমার স্বামী নির্দোষ সে এমন কাজ করতে পারে না।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শেখ সাদিক বলেন,  ঘটনার দিন ওই মেয়ে থানা এসেছিলো  সে অভিযোগ করেছে কাগদী রেবেকার বাড়ির সামনে থেকে তার মোবাই ও টাকা ছিনতাই হয়েছে। আমি তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি, সে ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে এমন কোন অভিযোগ করেনি।  যদি সে ধর্ষণের স্বীকার হয়ে থাকে তাহলে সে অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।