
রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে আটক করা হয়েছে, এমন দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ পরিবারের সদস্যরা।
১৮ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় নগরীর নিউমার্কেট এলাকার একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ২৬ নং ওয়ার্ড যুব মহিলালীগের সম্পাদিকা শাপলা খাতুন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আপনারা জানেন, সারাদেশে আবারও জামায়াত বিএনপি ও ছাত্রশিবিরের কর্মীরা হঠাৎ দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সেই সকল আওয়ামী ও রাষ্ট্রবিরোধিদের সাথে আমাদের কথিত নেতাকর্মীদের দেখা মিলেছে। এর ফল হিসেবে গত ১৭ আগষ্ট কৃষকলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাধব ও তার পরিবার আমাদের সন্তান অর্থাৎ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিডিয়ার সামনে এসে মিথ্যাচার করেছে এবং মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করেছে। তার এমন মিথ্যা মামলার কারনে ১৭ আগষ্ট রাতে র্যাব অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। যা খুবই নিন্দনীয় ব্যাপার!! তাই আজ অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। আমরা বর্তমানে চরম ভয় ও শঙ্কার মধ্যে আছি, কারন আবার না, মিথ্যা মামলার বলি হতে হয়। এই মাধবের সাথে চিহ্নিত ছাত্রশিবির কর্মী ইমনের সখ্যতা রয়েছে এবং বিভিন্ন সময় তাদের একসাথে দেখা যায়। মাধবের সাথে রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাদের সন্তানদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে। মেরাজ, ফরহাদ,রায়হান, মামুন, বড় ফহাদ, নিয়াজ, রবিন এবং বিপ্লসহ আরো অনেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং তারা রাজশাহী মহানগর ও ওয়ার্ড ছাত্রলীগের বিভিন্ন দায়িত্বে আছে। সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধাক্কাধাক্কি হয় এবং উভয় পক্ষের মধ্যে সামান্য আহত হয়। পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের দোহায় দিয়ে আমার ছাত্রলীগ কর্মীদের হুমকি দিয়ে যায়। এরপর মাধব রাজনৈতিকভাবে বিষয়টিকে কিছু করতে না পেরে ক্রোধের বশবর্তী হয়ে নিজের পরিবারকে সাথে নিয়ে
মিডিয়ার সামনে মিথ্যাচার ও নারী হয়রানির নাটক উপস্থাপন করে এবং বার বার নিজেদের সংখ্যালঘু বলে জাতীয় ঐক্য বানিয়ে চরম প্রতিশোধ নেওয়ার নোংরা খেলায় মেতে ওঠেছে। আমরা মেহেরচন্ডীতে হিন্দু-মুসলমান দীর্ঘদিন একসাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছি, কোনোদিন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অথচ উনাদের মিথ্যাচারের প্ররোচনায় পড়ে গতকাল গভীর রাতে র্যাব কোনো রকম তদন্ত ছাড়াই
আমাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মেরাজ-ফরহাদ ও ফরহাদ-এর বড় ভাই আখেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত আমাদের সন্তানরা কোথায় আছে আমরা জানি না।
মাধব ও তার পরিবারের এই মিথ্যাচারের বিচার আমরা চাই। আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা করতে চাই।
আর র্যাব প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচার প্রক্রিয়ায় না গিয়ে আমাদের সন্তানদের গ্রেফতার করে রেখেছে। আমরা এই ঘটনার এবং মাদব ও তার পরিবারের দেয়া মিথ্যা অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে। আমাদের সন্তানদের আমরা ফেরত চাই।
আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্র শেখ হাসিনা এবং রাজশাহী সিটি
কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং উনাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পরে এবিষয়ে মামলার বাদী মাধবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।
Print [1]