নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে সুরভি (৫) নামে এক শিশুর বাম হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং শিশুটির মা সুমি খাতুন (৩০) গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়া রেলওয়ে ষ্টেশনের কাছে হরিশংকরপুর ধোপাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।আহত সুমি খাতুন কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং সি-ব্লকের সাপ্পী ইসলামের স্ত্রী ও তার সন্তান।আহতের স্বজনরা জানান, স্বামীর সঙ্গে সুমির মাঝে মধ্যেই ঝগড়া বিবাদ হতো। শনিবার সকালে পারিবারিক কলহের জের ধরে সুমি খাতুন তার ৫বছর বয়সী মেয়ে সুরভিকে নিয়ে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে চলন্ত ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দেয়। এসময় শিশুটির হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং এছাড়া মা গুরুতর আহত হোন।
ঘটনাটি নিশ্চিত করে পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ওসি মনজের আলী বলেন, সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর এলাকায় ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসা দর্শনাগামী মালবাহী ট্রেনে কাটা পড়ে শিশুসহ দু’জন আহত হয়েছে। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত এক চিকিৎসক জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও মেয়েকে আজ সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত শিশুর বাম হাতের কনুইয়ের নীচের অংশ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।