বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডা. শরীফ মুহাম্মদ আল বাবর তালুকদার (১৪৫৪৪৯) জুনিয়র কনসালটেন্ট (এ্যানেসথেসিওলজি) নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক এবং পরিচালক প্রশাসনকে লিখিত ভাবে অবহিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান।
জানা যায়, ডা. বাবর তালুকদার ২০০১ সালে জুনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি কর্মস্থলে নিয়মিত ভাবে উপস্থিত থাকেন না। তিনি সপ্তাহে ৩ দিন কর্মস্থলে থাকেন। বাকি ৪ দিন তিনি ঢাকায় পরিবারের সাথে অবস্থান করেন। যদিও মাস শেষে বেতন ভাতা সম্পূর্নই তুলে নেন। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাঁকে বার বার সতর্ক করলেও তিনি এ বিষয়ে কর্নপাত করেননি। সর্ব শেষ ২৫ জুলাই হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক কর্মকর্তাদের নিয়ে স্বাস্থ্য কূমকর্তার পক্ষে আলোচনায় বসেন। ওই আলোচনা সভায় ডা. বাবর তালুকদারকে নিয়মিত অফিস করার অনুরোধ জানালে ডা. বাবর তালুকদার সপ্তাহে ৩ দিনের বেশি অফিস করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে। নিরুপায় হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লিখিত ভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক এবং পরিচালক প্রশাসনকে অবহিত করেছেন।
এব্যাপারে ডা. শরীফ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল বাবর তালুকদার বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সপ্তাহে ৩ দিন সিজারিয়ান অপারেশন হয়। সার্জনও সপ্তাহে ৩ দিন আসে। আমিও ওই ৩দিন থাকি। যেহেতু আমার কাজ হচ্ছে এ্যানেসথিয়া দেওয়া সে জন্য অপারেশন না থাকলে আমার কোন কাজ থাকে না। আমি বসে থেকে কি করবো? তাই পরিবারের সাথে ঢাকাতে সময় কাটাই। আর যদি চাপাচাপি করে তাহলে আমি বদলি হয়ে চলে যাব।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড . খালেদুর রহমান বলেন, ডা. বাবর তালুকদার সপ্তাহে ৩ দিন অফিস করেন। বার বার বলা শর্তেও তিনি অফিসে নিয়মিত হচ্ছেন না। সর্ব শেষ একটি মিটিংয়ে তাকে অনুরোধ করা হলে তিনি ৩ দিনের বেশি তাঁর কর্মস্থলে থাকতে পারবেন না বলে সাব জানিয়ে দেন। যে কারনে বিষয়টি লিখিত ভাবে আমার উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।
Print [1]