ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিন প্রার্থী।

আশিকুর রহমান রনি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ( আশুগঞ্জ ) প্রতিনিধব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিন প্রার্থী। তাদের দুজন আ’লীগ নেতা। এর মধ্যে জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার নির্বাচন করছেন আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে। অন্যদিকে জেলা আ’লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক শফিকুল আলম এমএসসি এবারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর তাদের সঙ্গে তৃতীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নবীনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু কালাম আজাদ।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ছিল জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। এদিন পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে এই তিন ছাড়াও সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মোট ৬৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকতা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন ৫২ জন। এর মধ্যে নাসিরনগরে সাতজন, সরাইলে ছয়জন, আশুগঞ্জে ছয়জন, সদরে সাতজন, বিজয়নগরে ছয়জন, আখাউড়ায় পাঁচজন, কসবায় পাঁচজন, নবীনগর ছয়জন ও বাঞ্ছারামপুরে চারজন। আর নারীদের জন্য সংরক্ষিত পদে ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। প্রত্যেক প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হবে ১৮ সেপ্টেম্বর।

এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থনপ্রত্যাশী ছিলেন তিনজন- আল মামুন সরকার, শফিকুল আলম এমএসসি ও জেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন। গত ১০ সেপ্টেম্বর আ’লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় শেষ পর্যন্ত দলীয় সমর্থন পান আল মামুন সরকার। সেই সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে হেলাল উদ্দিন আর মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। তবে শফিকুল আলম এমএসসি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সে হিসাবে তাকে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী বলা হলেও তিনি নিজে সেটি স্বীকার করতে রাজি নন।

‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়ার নজির অবশ্য গত নির্বাচনেই করেছেন শফিকুল। সেবার আ’লীগ সমর্থন দিয়েছিল প্রয়াত সৈয়দ এ কে এমদাদুল বারীকে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শফিকুল ভোটে দাঁড়ান এবং এমদাদুল বারীকে পরাজিত করেন। ভোটের মাঠে জয়ের কারণেই আ’লীগের সমর্থনপ্রত্যাশী ছিলেন তিনি। তা না পেয়ে এবারও আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে তিনি ভোট করছেন। আর ভোটের মাঠের হিসাবের কারণেই তার সমর্থকরা এবারও জয়ের প্রত্যাশা করছেন।

‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর তকমা নিতে নারাজ শফিকুল বলেন, ২০১৪ সালের পর আমাকে দলের কোনো পদে রাখা হয়নি। দলীয় কোনো পদ না থাকায় আমাকে ‘বিদ্রোহী’ বলা যাবে না। আমি একাধিকবার দলের পদে থাকার চেষ্টা করেছি, কিন্তু কোনো পদই পাইনি। তবে আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। এর আগেও আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছি, এখনো করছি।

শফিকুল আলমকে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মেনেই নির্বাচন করবেন জানিয়ে আল মামুন সরকার বলেন, তিনি আ’লীগের মনোনয়ন চেয়ে পাননি। এখন দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করছেন। অর্থাৎ তিনি ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী। এর আগে তাকে জেলা আ’লীগ থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় কমিটি ক্ষমা করে দিয়েছিল। তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আ’লীগের বর্ধিত সভায় তিনি ছিলেন। তারপরও তিনি আবার স্বতন্ত্র হন কীভাবে?

এদিকে, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন নবীনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু কালাম আজাদ। তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে তাকে সমর্থন দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, দলীয়ভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে কাউকে সমর্থন দেয়া হয়নি।