ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

দশমিনায় উপজেলা পর্যায়ে দক্ষতা ও উদ্যোক্তা বিষয়ক কর্মশালা

মোঃবেল্লাল হোসেন দশমিনা ( পটুয়াখালী) প্রতিনিধি স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ও ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম ESIP এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় সদর উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স কক্ষে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সামাজিক প্রচার কর্মসূচি হিসেবে  উপজেলার জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও গণমাধ্যম কর্মী ছাড়াও প্রশাসনের কর্মকর্তারা অংশ নেন এই কর্মশালায়।
কর্মশালা সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন, বিসিসি এক্সপার্ট একেএম মঞ্জুরুল হক, এবং ফিল্ড মনিটরিং অফিসার আখিরুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা  জানান ৩১ মে ২০২২ পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪৬৯ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, তার মধ্যে ৫ লক্ষ ৮০২ জন সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করেন,শেষে ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪৪ জনকে চাকরি প্রদান করেছে। এ সময় বলে আয়তনের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৪তম। কিন্তু জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাল অতিক্রম করছে।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা ত্বরান্বিত করতে দেশের বিপুলসংখ্যক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তি রূপান্তরিত করতে না পারলে আমাদের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে,গড়ে অন্তত ২০ লাখ মানুষ দেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। এর গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে সরকার নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।২০৩০ সালের মধ্যে সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে চলছে।
এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় ১ কোটি মানুয়ের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাই বিদেশে ভালো কাজ ও উন্নত বেতনের জন্য অবশ্যই দক্ষকর্মী পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। সফলভাবে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানসম্পদে রূপান্তরের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন, টেকসই উন্নয়ন ও ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে স্থান করে দেয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ কাজ করছে।
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি নারী। বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক মূলধারার বাইরে রেখে দেশের সার্বিক অগ্রগতি অর্জন কখনই সম্ভব না। বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করার জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নারীদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হচ্ছে এবং কমপক্ষে ৩০ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে।