বাদশা ফয়সাল জানান, তিনি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলাধীন ২নং আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান থাকাকালে ১নং আসামী মোঃ রাইসুল ইসলাম রাসেল আমার নিকট থেকে বিভিন্ন সুযোগ—সুবিধা নিত এবং আমাকে মাঝে মধ্যে ফোন দিয়ে ঢাকা বেড়াতে আসতে বলতো। গত ১০/০৯/২০২২ইং তারিখে আমি ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় আসি এবং আমার শ্বশুরের বাসা যাত্রাবাড়ী থানাধীন মাতুয়াইল অবস্থান করি। গত ১৫/০৯/২০২২ইং তারিখ বিকাল আনুমানিক ৪ টার সময় ১নং আসামী মোঃ রাইসুল ইসলাম রাসেল আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে আমার সাথে দেখা করতে চায়। এরপর বিকালে সে আমাকে তার বোনের বাসায় দাওয়াত খাওয়ার জন্য অনুরোধ করলে আমি তার কথায় রাজি হয়ে সরল বিশ্বাসে কিছু ফলফলাদি নিয়ে তার বোনের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করি।
তিনি জানান, বিকাল আনুমানিক ৫ টায় সময় আসামী রাসেল তার বোনের বাসার কথা বলিয়া আমাকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন শনিরআখড়া শেখদী রপসী গার্মেন্টপ এর বিপরীত পাশে ০৪নং আসামী আরিফ এর বর্তমান ঠিকানাহ রাশেদের বাড়ীর ভাড়া বাসার নিচ তলার ফ্ল্যাটে নিয়ে যায় এবং আমাকে একটি কক্ষে বসতে দেয়। কিছুক্ষণ পর একটি অজ্ঞাতনামা মেয়েসহ উপরোক্ত আসামীরা আমাকে অবরোধ করে। তাহার মধ্যে ০৫নং আসামী মোজাম্মেল এর হাতে হ্যান্ডকাপ ছিল। সে নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দেয়। অপর আসামীদের সহযাগেীতায় মেয়েটিকে আমার পাশে বসিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে আপত্তিকর ছবি তোলে। আমি প্রতিবাদ করিলে আসামীরা আমাকে এলোপাথাড়ী মারধর করে এবং আমার কাছে থাকা ব্যক্তিগত মোবাইলটি ০১নং আসামী রাসেল ছিনিয়ে নেয়। এরপর ০৫নং বিবাদী মোজাম্মেল আমার হাতে হাতকড়া পড়িয়ে কাপড়—চোপড় খুলে জোর পূর্বক ঐ মেয়েটির সাথে পুনরায় ছবি তোলে এবং ভিডিও ধারন করে। অতঃপর ১নং আসামী রাইসুল ইসলাম রাসেল (৩৫), ২নং আসামী রাসেল (৪০) ও ৫নং আসামী মোজাম্মেল (৪০) আমার কাছে থাকা নগদ ৬৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় এবং আমার ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকী এবং ধর্ষণ মামলার ভয় দেখিয়ে আরো ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। আসামীরা তাৎক্ষনিকভাবে আমার সাথে থাকা মোবাইলের বিকাশ নং—০১৭১১৯৪৫০১৪ থেকে তাদের মোবাইলে বিকাশ নং—০১৬৭৪১৪৯৬৬১, ০১৭৬৬৬৭৯৯৯১ তে মোট ৩৫ হাজার পাঁচশত টাকা ক্যাশ আউট ও সেন্ডমানি করে নিয়ে নেয়। এরপর আসামীরা আমাকে এলোপাথারী মারধর করে এবং এই ঘটনা পুলিশকে জানাইলে ভবিষ্যতে বড় ধরলের ক্ষতি করার হুমকী দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে আমি স্থানীয় ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে বাড়ীতে চলে যাই। পরবর্তী সময়ে এলাকায় গন্যমান্য লোকজন এবং আমার আত্মীয়—স্বজনের মাধ্যমে জানতে পারি আসামীরা বিভিন্ন ফেসবুক আইডি হতে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার জোরপূর্বক তোলা ছবি গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করেছে।
ভুক্তভোগী বাদশা ফয়সাল এ ঘটনায় জড়িত চক্রের সকল সদস্যকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।