ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ , আজকের সময় : রবিবার, ৫ মে, ২০২৪

কুষ্টিয়ায় কৃষক হত্যায় ৫ভাই এর যাবজ্জীবন

ফরিদ আহমেদঃ  কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় দায়ের করা কৃষক ওয়াজেদ আলীকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় ২জন দৈহিক প্রতিবন্ধীসহ আপন ৫ সহোদরের যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালহত। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১এর বচারক তাজুল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে সাজাপ্রাপ্Í আসামীদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন। এছাড়া রায়ে প্রত্যেকের পৃথক ভাবে ২৫হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত। সাজা প্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সালিমপুর তারাগুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত: বকস মন্ডলের ছেলে দৈহিক প্রতিবন্ধী জানবার আলী (৬৬) ও গোলাম মোস্তফা (৬১), আব্দুল মান্নান (৫৬), আলাউদ্দিন (৫৩) এবং আব্দুল হান্নান (৫০)। আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ মার্চ রাত সাড়ে ১২টায় পূর্ব থেকে জমিজমা সংক্রান্ত বিবদমান দ্বন্দের জেরে উপজেলার সালিমপুর মাঠের জমি থেকে প্রতিপক্ষের লোকেরা গম কেটে নেয়ার সংবাদ পেয়ে জমির মালিক কৃষক ওয়াজেদ আলী তার ছেলেদের সাথে করে গমের জমিতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। এসময় গম কর্তনরত আসামীদের গম কাটতে নিষেধ করায় আসামীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে জমির মালিক ওয়াজেদ আলীকে উপর্যুপরি কুপিয়ে অঙ্গহানিসহ দেহের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বিল্লাল হোসেন বাদি হয়ে ১১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১১/১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা করেন দৌলতপুর থানায়। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারী তারিখে ১২ জনের বিরুদ্ধে কৃষক ওয়াজেদ আলী হত্যায় জড়িত অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন মামলার তদন্তের দায়িত্ব প্রাপ্ত দৌলতপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক ফয়সাল হোসেন। কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, দৌলতপুর থানার জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দের জেরে পূর্ব থেকেই বিবদমান দ্বন্দে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওয়াজেদ আলীকে হত্যার দায়ে আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় দৌলতপুর আপন ৫ সহোদরদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড সহ ২৫হাজার টাকা অর্থদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। জরিমানার টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আরও এক বছর সাজা খাটতে হবে তাদের। এছাড়া এমামলায় আনীত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় ৭আসামীর বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। তবে এমামলার রায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন বলে জানান আসামীপক্ষের কৌসুলি এ্যাড. সুধীর কুমার শর্মা।