ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২ , আজকের সময় : সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

রাজশাহীতে ভারতীয় ভিসা দালাল চক্রের সদস্য গ্রেফতার 

রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীস্থ ভারতীয় ভিসা সেন্টারের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির খবর থাকলেও অবশেষে গ্রেফতার হয়েছে  একজন ভিসা দালাল চক্রের সদস্য। গ্রেফতারকৃত সদস্যদের নাম মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩৫), পিতা- মাইনুল ইসলাম, সাং- হড়গ্রাম (লিলি হল মোড়), থানা- কাশিয়াডাঙ্গা, মহানগর রাজশাহী।
০৩ অক্টোবর (সোমবার) সকালে দুর্দুরান্ত থেকে আসা ভারতীয় ভিসা প্রত্যাশীদের থেকে অবৈধভাবে প্রকাশ্যে টাকা গ্রহনের সময় জনরোষানলে পড়ে শহিদুল। এরপর   ভিসা প্রত্যাশীরা হট্টোগোল শুরু করলে ভিসা সেন্টারের গেট বন্ধ করে দেয়। পরে মিডিয়াকর্মী জানতে পারলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলে চিৎকার চেচামেচির। সাংবাদিক  তাদের সাথে কথা বলতে (ভিসা ষ্টাফ) গেলে উল্টো তাদের রোষানলে পড়তে হয় সাংবাদিককে। গার্ড সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে বলেন আপনাকে কি ভিসার জন্য আসতে হবে না? তখন দেখবো!! সাংবাদিক ছবি নিতে গেলেও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন দ্বায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ড। হাত ধরে টানা হেচড়া করেন। এরপর সেখানে আরও মিডিয়াকর্মীরা উপস্থিত হলে তারা গেটে তালা লাগিয়ে ভিতরে চলে যায়। মিডিয়ারকর্মীরা সেখানকার দ্বায়িত্বরত ইনচার্জের সাথে কথা বলতে চাইলেও তাদের কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। পরে রাজশাহীস্থ ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ইনচার্জ বিপ্লব সাহা’র (01735274534) মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে হাতেনাতে টাকা নেওয়া ও জনগণের হট্টোগোলের কারনে  আটক করেছে সেখানকার দ্বায়িত্বরত পুলিশ। পরে বোয়ালিয়া থানাধিন শিরইল পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই শহিদুল্লাহ কাইসার নেতৃত্বে রোমিও ১৩ দ্বায়িত্বরত অফিসার এএসআই মনিরের সহযোগিতায় গ্রেফতার করে দালাল চক্রের সদস্য শহিদুলকে নিয়ে আসে পুলিশ ফাঁড়িতে। এবিষয়ে শিরইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল্লাহ কাইসারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা একজনকে ধরেছি। তার নাম শহিদুল। আপাতত তাকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য ফাঁড়িতে আটক রাখা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি শহিদুল ভিসা সেন্টারের বিল্ডিং মালিকের ড্রাইভার। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাঁকি তথ্য জানা যাবে। মামলা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি থানায় পাঠাবো বাঁকিটা ওসি স্যার দেখবেন। তার এমন সুর শুনে বোঝা যাচ্ছে আদৌও মামলা হবে কিনা!!
তবে ভারতীয় ভিসা সেন্টারে এমন কার্যক্রমে হতাশ ভারতীয় ভিসা প্রত্যাশীরা। তারা বলছে আপনারা দেখেন, আপনাদের উপস্থিতিতে যদি এমন হয়। তাহলে আমরা সাধারণ পাবলিক কি অবস্থায় আছি? তারা আমাদের সাথে খুব খারাপ আচরন করে। আজকেও অনেক জন এভাবে টাকা দিয়ে ঢুকেছে। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের ভিসা আবেদন বাতিল করা হবে। তাই আমদের চোখের সামনে অনেক কিছু দেখেও চুপ থাকতে হয়। তাদের এমন আচরন দেখে মনে হয় বাংলাদেশের মানুষ যেন তাদের কাছে জিম্মি!! তবে এমন দুর্নীতির বিষয়ে বাংলাদেশে দ্বায়িত্বরত ভারতীয় ভিসা অফিসার (ডেকো) গৌরব চক্রবর্তীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আপনি অভিযোগগুলো মেইল করে দেন। আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।