
মোঃবেল্লাল হোসেন
দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি পটুয়াখালী দশমিনায় মা ইলিশ রক্ষায় তেঁতুলিয়া নদীতে স্থানীয় যুবকদের সহয়তায় ৪ লক্ষ মিটার জাল ও ট্রলার জব্দ।
জানাযায় কিছুদিন হয় নৌ-পুলিশ ও মৎস্য কর্মকর্তাগন অভিযান পরিচালনা করার পর কিছু অসাধু জেলেরা নদীতে জালফেলে মা ইলিশ স্বীকারে করে । স্থানীয়১০-১২ জন যুবকদের সহয়তায় বুধবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে ৪ লক্ষ মিটার জাল জব্দ করে এবং ৮-১০ টি জেলে ট্রলার নিয়ে মাইলিশ ধরতে গেলে ওত পেতে থাকা যুবকেরা তাদের দাওয়া করলে জেলেরা ট্রলারে জ্বাল রেখে পালিয়ে যায়। পরে ট্রলার ও জাল নিয়ে আসা হয়। ট্রলার নৌ পুলিশের জিন্বায় রাখা হয় এবং জাল পুরিয়ে ফেলা হয়।
হাজিরহাট এলাকার জেলে আনসার বলেন যুবকদের এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবিরাখে। নৌ-পুলিশের বিভিন্ন অভিযোগ আছে তাদের আদলে জেলেরা নদীতে মাছ ধরে এবং তাদের কিছু লোক মাছ বিক্রি করে । হঠাৎ করে যুবকদের এ অভিযান মা-ইলিশ প্রজনন সময় কালে একটি যথাযোগ্য পদক্ষেপ। আমি নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেবকে অনুরোধ করবো সরকারি হিসাব মতে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মা-ইলিশ প্রজনন সময়। এ সময় টুকু এ ভাবে অভিযান পরিচালনা করলে আগামীতে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছের অভাব হবে না।
গোলখালী গ্রামের বাসিন্দা কুদ্দুস মোল্লা বলেন, নৌ পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ যা না পারে স্থানীয় যুবকরা তা দেখিয়ে দিলো। দশমিনা নৌপুলিশ কে টাকা দিয়ে এ সকল জেলেরা নদীতে মাছ ধরে। এ বছর নৌ পুলিশ নামে মাত্র অভিযান পরিচালনা করে। তাদের যে জেলে টাকা দেয় তাদের জাল দেখেও দেখে না। তারা জাল ধরে বিক্রি করে এমন অভিযোগ আছে।
স্থানীয় যুবক সজিব বলেন আমরা প্রায় সময় শুনছি তেঁতুলিয়া নদীতে অসাধু জেলেরা মাছ ধরে। এ বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদকে বললে তিনি আমাদের অভিযানে অনুমতি দেন এবং প্রশাসনের সহয়তায় ৪ লক্ষ মিটার জাল ও ট্রলার আটক করতে সমর্থ হই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল জানান , তেঁতুলিয়া নদীতে কয়েকদিন হয় কিছু অসাধু জেলেরা মা-ইলিশ স্বীকার করে আসছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় যুবক স্বেচ্ছাসেবক ও সাংস্কৃতিক মনা যুবকদের সহয়তায় অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে ৪ লক্ষ মিটার জাল ও ট্রলার জব্দ করা হয়। পরে জাল পুরিয়েফেলা হয়, নৌ-পুলিশের দায়িত্বে ট্রলার জিন্বায় রাখা হয়। এ অভিযান অব্যহত থাকবে।
Print [1]