ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২ , আজকের সময় : বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

দশমিনায় কার্ডধারি সাড়ে ৮ হাজার , চাল পেলো ৭ হাজার জেলে।

মোঃবেল্লাল হোসেন
দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় ১হাজার ৪ শত জেলে চাল থেকে বঞ্চিত, ৭ ইউনিয়নের মধ্যে ৬ ইউনিয়নে ৭ হাজার জেলেদের মাঝে ২৫ কেজি করে চাল বিতরন করা হয়।
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় তেঁতুলিয়া নদীতে মা-ইলিশের প্রজনন সময়কাল ৭-২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। এ সময় উপকুলীয় জেলেদের নদীতে মাছধরা, আহরণ, মজুদ, ক্রয়- বিক্রয়, পরিবহন, বাজারজাত সম্পূর্ন নিষেধ।
জানা যায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ,দশমিনা,পটুয়াখালীর তথ্য মোতাবেক উপজেলায় কার্ড প্রাপ্তি ইলিশ জেলের সংখ্যা তেঁতুলিয়া নদী ও সাগরের জেলে ৭ টি ইউনিয়নে ৮হাজার ৪শত জন, কিন্তুু ২০২২ সনের মা-ইলিশ প্রজনন সময় কালে নদী ও সাগরে মাছধরা জেলেদের সরকারি বরাদ্দ প্রাপ্তিতে ৭ হাজার জেলেদের মাঝে ২৫ কেজি করে(ভিজিএফ) চাল বিতরন করা হয়।
০৪নং দশমিনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ লিটন ২৬ অক্টোবর বুধবার সকালে চাল বিতরন করতে গিয়ে বলেন , আমার ইউনিয়নে এ বছর ২হাজার ২শত ৩৫ জন জেলেকে চাল বিতরন করছি কিন্তু এ ইউনিয়নে সৈয়দজাফর, কাটাখালী, গোলখালী, হাজিরহাট চরহাদী ওয়ার্ডে জেলে আছে ৪ হাজারের উপরে জেলে আছে যাদের জীবনজীবিকা তেঁতুলিয়া নদী ও সাগরের মাছ ধরায়। যে বরাদ্দ পেয়েছি তাতে সকলকে জেলেকে চাল দেয়া সম্ভব না।
চরবোরহান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজির সরদার বলেন আমার ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ৮৫% লোক নদী নির্ভর । যা বরাদ্দ পেয়েছি তাদিয়ে সকলকে চাল দেয়া হয়না। তবুও বাছাই করে চাল বিতরন করা হয় । এ চাল বিতরনে হিমসিম খেতে হয়। অনেকের জেলে কার্ড আছে চাল দিতে পরিনা তাতে তাদের মনে অসন্তষ দখা দেয়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলম বলেন, সরকার যা বরাদ্দ দিয়েছে চেয়াম্যানদের নামের লিস্ট অনুসারে ৭ হাজার জেলে কে ২৫ েিকজ করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। কার্ডধারি ১ হাজার ৪ শত জেলেকে চাল না দেয়ার কথা জানতে চাইলে বলেন এ চাল শুধু ইলিশ জেলেদের। সরকারি বরাদ্দ যা পেয়েছি তা বিতরন করা হয়েছে। এখানে বাড়ানো বা কমানোর কোন ক্ষমতা আমার নেই।